আগামী নভেম্বরে আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সম্ভাবনার কথা জানান পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। কারণ, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যেদিন নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন তার আগের দিন চলে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কমনওয়েলথে হবে না (২১-২৬ অক্টোবর দ্বীপ রাষ্ট্র সামোয়ার রাজধানীর আপিয়ায় কমনওয়েলথ সম্মেলন)। কারণ, ওখানে যাবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসে বিমসটেক সম্মেলনে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক হবার সম্ভাবনা আছে।
পরস্পরের স্বার্থে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ জানিয়ে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুতই চালুর বিষয়ে কথা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে তাদের সুপারিশগুলো দেবে। আরও কিছু স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। তখনই কিন্তু রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে। তার আগে রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে না।
নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়ে বিদেশিরা জানতে চেয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আমরা বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করেছি যে তাদের বেশি কিছু বলার ছিল না। আমরা তাদের প্রেক্ষাপট বলেছি। এ সরকার আসতে চায়নি এবং নিজে থেকে আসেনি।
যুব সম্প্রদায় কিছু জিনিস চায় এবং তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায় যেখানে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা সংস্কার চায়। আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে তাদের চাওয়া মেলে। আমরা গোটা বিষয়টি তাদের খুলে বলেছি এবং জানিয়েছি এরপরে নির্বাচন দিয়ে আমরা এখান থেকে সরে যাবো, তিনি যুক্ত করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বাংলাদেশি গ্রুপের কথা হয়েছে এবং সবাই জোর দিয়েছে যে আমরা যেন তাড়াহুড়ো না করি।
যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবাই প্রফেসর ইউনূসের কাছে শুনতে চাইছিলেন যে কী ঘটছে বাংলাদেশে এবং তার পরিকল্পনা কী। এটি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এর আগে বলেছি। কিন্তু তিনি সরাসরি হাজির হয়ে বলা এবং অন্য মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর মধ্যে পার্থক্য আছে।