আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় গৃহ নির্মাণ সামগ্রীর
মূল্যবৃদ্ধিতে গৃহ নির্মাতারা হিমসিম খাচ্ছে। স্বপ্নের একটি বাড়ি নির্মাণ করতে
মাত্র বছর দুই আগে যে ব্যয় হয়েছে,বর্তমানে তার চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ব্যয়
বেড়েছে। এতে মধ্যবিত্তসহ অনান্যদের বাড়ি নির্মাণের স্বপ্ন পুড়নে হিমসিম খেতে
হচ্ছে। করতে হচ্ছে ধার-দেনা। বেড়েছে মানসিক কষ্ট।
অন্যদিকে নির্মাতাদের আগের মতো বাড়ি নির্মাণ করে মুনাফা কমে গেছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে
যাচ্ছে। বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসা ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। কষ্ট
বেড়েছে মধ্যবিত্তের শ্রেনীসহ সব পেশার মানুষের।
আদমদীঘি উপজেলায় বর্তমানে প্রতিটি ইটের দাম ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা বেড়েছে।
সেই সঙ্গে বেড়েছে বালি,সিমেন্ট,শ্রমিক মজুরীর দাম। গত ১ বছর আগে যে শ্রমিক
মজুরী ছিল, তা বেড়ে প্রায় দ্বীগুন হয়েছে। বালির দামও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায়
দ্বীগুন।
জানা গেছে, সাধারণ মানের ১ টন রডের দাম ৯৩,০০০ টাকার মতো। বাজারে রডের দাম এক
বছর আগেও ছিল প্রতি কেজি ৭০-৭২ টাকার মতো। বর্তমানে সেই রড বিক্রি হচ্ছে
৯৫-১০০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, রড শিল্পের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে
হয় বলে বর্তমানে রডের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। বাজারে বর্তমানে বিএসআরএম
কোম্পানির রডের দাম ও চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই কোম্পানির ১ টন রডের দাম
১,০২০০ টাকায়। কেএসআরএম কোম্পানি রডের দাম টন প্রতি ৯৫.০০০ টাকা।
উপজেলার বাজারগুলিতে সকল উন্নত মানের সিমেন্ট প্রতি বস্তা ৫০ টাকা থেকে ৮০
টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে হোলসিম ওয়াটার প্রটোক্টের সিমেন্টের দাম
৬২৫ টাকা। যা আগের বছর ছিল ৫২০ টাকা। শাহ সিমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে ৫৪৫ টাকায়।
ঋবন নির্মাণে ইটের চাহিদা বেড়েছে। সেই ইটপ্রতি মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৩-৪
টাকা। এর মধ্যে ১,২ নম্বও ইট আছে। সেই ইটের পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে
১ ট্রাক বালুর দাম ১০০০-১১০০০ টাকা। স্থান বিশেষ এই দাম বৃদ্ধি পায়।
নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানান, ডলার ও কাঁচামালের দাম
বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অবস্থা ।আমরা নিরুপায়। আমাদের পরিবহন খরচও বেড়েছে। এর সঙ্গে
সিন্ডিকেটের সম্পর্ক নেই।
উপজেলার ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা নির্মাণ সামগ্রী বৃদ্ধি
পাওয়ায় সংকটে আছেন। শ্রমিক মজুরী থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম বেশি। আমরা
কি করে এ পেশায় থাকবো?