আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি বিভিন্ন পন্যে মাইকের
উচ্চস্বরে প্রচার করা হচ্ছে প্রায় সময়। সকাল ৯ টার পরে থেকে রাত ৮টা অবধি
ব্যাটারিচালিত অটোরিকসায় মাইক বেঁধে পন্যের প্রচার করছে বিভিন্ন
সংস্থা,ব্যক্তি। এতে প্রচন্ড শব্দদুষণ হচ্ছে, নানারকম আওয়াজে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
পোলট্রি মুরগির মূল্য ছাড় থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারণা,
কোচিং সেন্টারের প্রচারণা, হাটে উন্নত মহিস জবাই করে বিক্রি করা হবে-
ইত্যাদি প্রচার চালানো হয়। এ ছাড়া বিয়ে, ব্যান্ড সংগীতের অনুষ্ঠানের মাইকের
উচ্চ স্বরে আওয়াজ শোনা যায় গভীর রাত পর্যন্ত।
কোন নিয়ম নীতি না মেনে সুখবর’ জাতীয় খবরে মাইকের আওয়াজে অতিষ্ট জনগণ। নবজাতক কিংবা শিশুদের
জন্য উচ্চশব্দ মারাত্মক ক্ষতি করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।
শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০০৬ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস
আদালত, বা এ জাতীয় অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের চারিপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত
বিস্তৃত এলাকা’ নীরব এলাকা’ হিসেবে গণ্য। কিন্তু খোঁজ নিয়ে এবং
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লাস চলা অবস্থায়ও
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধার দিয়ে কেউ কেউ উচ্চস্বরে মাইকে বাজিয়ে পণ্যের প্রচার
করে।
একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন জানান, নিয়ম ভঙ্গ করে পরীক্ষার সময়,
রাত-দিন উচ্চ স্বরে মাইকের বিভিন্ন পণ্যের প্রচার হয়। এতে আমাদের পড়তে কষ্ট
হয়। মাইক বা অন্য কোন মাধ্যম যখন খুমি ব্যবহার না করার নিয়ম কঠোরভাবে পালন
করা উচিত। এ ব্যাপারে মনটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করা উচিত। প্রতিদিন মাইকে ’
সুখবর’, ’সুখবর’ শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
সান্তাহার নাহার মেডিকেয়ারের চিকিৎসক ডাঃ হামিদুর রহমার রানা বলেন,
প্রতিদিন উচ্চশশব্দে মাইকের প্রচারে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এক সময়
তা শ্রবণ সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে রাব্বী বলেন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
সরকারি অফিস, ক্লিনিক এলাকায় ১০০ মিটার ডেসিবল শব্দের মাত্রা অতিক্রম করা
যাবে না। আবার বিধি অনুসারে রাত ৯টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫