আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায়
প্রস্তাবিত বাজেটের পর নিত্যপন্যের বাজরে কোনো প্রভাব পড়েনি।
উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুর দেখা গেছে সব ধরনের পন্যের দাম আগের
মত আছে। তবে সিগারেটের দাম বেশি নিচ্ছেন খুচরা ও পাইকার
বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারের বেশিরভাগ পন্যে আগের কেনা।
আর বাজেটের প্রভাব বুঝতে সময় লাগবে।
উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত রমজান থেকেই দ্রব্যমুরে্যর দাম
উদ্ধৃমুখী। তা ছাড়া বাজেট ঘোষনার আগে থেকেই পন্যের দাম বেড়ে
গেছে । এ ছাড়া বাজেটের প্রভাব বুঝতে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে।
উপজেলার সান্তাহার বাজারের সবজি বিত্রেতা লিখন জানান, বাজার
অনেকটা আগের মত আছে। সবজির দাম বাজেটের আগে থেকেই
বেশি। পিয়াঁজ, রসুন, আদা, মরিচের দাম বেড়েছে বাজেটের আগে।
তা ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে মসলাসহ অনেক পন্যের দাম বেড়ে যায়। ঈদের পর
সেই দাম কিছুটা কমে যায়।
বাজার করতে আসা মোসলেম উদ্দীন নামে একজন ক্রেতা জানান, আমাদের
মতো নি¤œ মধ্যবিত্তদের জীবনে বাজেটের কোন প্রভাব নাই। সম্পর্কও
নাই। কখন বাজেট এলো আমরা তা বুঝতেও পারি না। পন্যের দাম যতই
বৃদ্ধি পাক আমাদের কিনতে হবে। তা ছাড়া বাজার মনিটরিং বলে একটি
কিছু আছে। সেটা একদম নেই।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজার স্থিিিতশীল রাখা ও উচ্চ মুল্যস্ফীতির
লাগাম টানতে অন্তত ২৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবারাহের ওপর
উৎস কর কমানো হচ্ছে প্রস্তবিত বাজেটে। এসব পণ্যে কর ২ শতাংশ
থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পন্যেগুলির মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ,
রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ
শুকনা মরিচ, ময়দা, আটা. লবণ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর প্রভৃতি।