বুধবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১১০ টাকা। আলু ৫৫-৬০ টাকা। বেগুন ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাঁজর ১৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা হালি।
বাজারে মাছ-মাংসের দামও বাড়তি। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে। সিলভার কার্প ২৮০, দেশি পুঁটি ৬০০, চাষের কৈ ২০০, শিং ৪০০, শোল ৮০০, মাঝারি আকারের রুই ৪০০, বড় পাঙ্গাশ ২২০, তেলাপিয়া ২৫০, ট্যাংরা ৪০০, পাবদা ৪৮০, মলা ৭০০, কাতলা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ ও ব্রয়লার মুরগি অপরিবর্তিত অবস্থায় ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচা বাজারের এক ক্রেতা বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন কোনোভাবেই হিসাব মেলাতে পারছেন না। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে চাহিদার তুলনায় কম কিনছেন। কাঁচা মরিচের দাম আবারো ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছে। বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি না থাকলেও বিক্রেতারা বলছেন সরবরাহ কম।
বাজারে দেখা গেছে, সবজির কোনো ঘাটতি নেই। প্রচুর পরিমাণ সবজি নিয়ে বিক্রেতারা বসে থাকলেও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। ক্রেতারা দামাদামি করলে সরবরাহ কম থাকার কথা বলেন বিক্রেতারা।
সবজি বিক্রেতা সাহিদুল ইসলাম বলেন, যে পরিমাণ সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় কম। ফলে বেশির ভাগ সবজির দাম বাড়ছে। কৃষকের ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে কমেছে সরবরাহ, বেড়েছে দাম।
বাজার করতে আসা আশরাফুল আলম বলেন, সবজির, মাছসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। বাজারে তদারকি না থাকার কারণে বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়। ফলে বাজারে এসে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন হিসাব মিলাতে পারছে না।
রিপন মিয়া নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, দাম এতটা বেড়ে যাওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। এর পেছনে খুচরাসহ পাইকারি বিক্রেতাদের কারসাজি রয়েছে। প্রতিবারই তারা কীভাবে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটা যায় সেই ধান্দা-ফিকিরে থাকেন।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, দাম বেশি বাড়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। বাজার মনিটরিং করা হবে, অভিযান চালানো হবে। কারসাজি করে দাম বাড়ানো হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।