আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়িতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতমাথায় এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংগঠনের জেলা সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় ভৌমিক, কোষাধ্যক্ষ শাওন শওকত, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আফ্রিক হাসান প্রান্ত, ছাত্রনেতা রাকিব, সুজন কুমার, মাহবুব, তৌফিক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, শ্রমিকরাও সেটির অংশীদার। পোশাক শ্রমিকরাও এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল। গতকাল আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়িতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের শাথে সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে কাওসার হোসেন নামক একজন নিহত হয়েছেন। ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। শ্রমিকদের উপর হামলা, মারণাস্ত্রের ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বক্তারা আরো বলএন, “পতিত ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যেভাবে পাখির মতো গুলি করে ছাত্র-শ্রমিক জনতাকে হত্যা করা হয়েছে, এখনও তা চলছে। বকেয়া মজুরি দাবি করে যৌথ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি। এই হত্যাকান্ডের দায় অন্তর্বতীকালীন সরকারকে নিতে হবে।”
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে আশুলিয়ার শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা, আহতদের সুচিকিৎসা, নিহতের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। এছাড়া আশুলিয়াসহ সকল শিল্প এলাকায় দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানান বক্তারা।