আগামীকাল ১০ জিলহজ, পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসল্লিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান এ উৎসব সামনে রেখে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই বেড়েছে। মসলা থেকে শুরু করে শসা, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, পেঁয়াজ- সবকিছুর দামই যেন লাগামহীন। এমনকি ঈদের আগের দিনও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজিতে ও ছাগল ১১০০ তে।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন বাজারে একেক রকম দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মালিবাগে এলাচ ৩ হাজার ৬০০ টাকা, রামপুরায় ৪ হাজার টাকা। আবার লবঙ্গ রামপুরায় ১ হাজার ৭৭০ টাকা, মালিবাগে ২ হাজার টাকা। বাজারে দারচিনির কেজি ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা। এক মাস আগেও যা কেজিতে ৫০ টাকা কম ছিল। আর লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৬০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি। প্রতি কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। এ ছাড়া জয়ত্রি ৪ হাজার, জায়ফল ১ হাজার ৫০০, কাজুবাদাম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ও কাঠবাদাম ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। আদা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ২০০ থেকে ২২০ আর আমদানি রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাংসের চাহিদা খুব বেশি না থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। রাজধানীর বাজারে ৭৮০ টাকার নিচে মিলছে না গরুর মাংস। পাশাপাশি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১শ’ টাকা কেজি।
ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে শসার দামও। এক কেজি শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ ও শজনে ১৬০ টাকা আর প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশে মসলার বার্ষিক বাজার এখন ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। তবে এসব পণ্যের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্ববাজারে পণ্যের বাড়তি দাম এবং দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি কারণে আগের চয়ে কিছু মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।