1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ - Daily Bogra Times
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাঁথিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে  যুবলীগ নেতা আমিরুল নিহত সাপাহারে সুলভ মূল্যে তরমুজ বিক্রির দোকান উদ্বোধন উল্লাপাড়ায় কালিগঞ্জ খেয়া ঘাটে পারাপারের মাধ্যমে এখন বাঁশের স্যাকো গাবতলী উপজেলা প্রাথমিক প্রাণী চিকিৎসক সংস্থার কমিটি গঠন জয়পুরহাটে ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান  শেরপুরে রেশমার খামার পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ভলকার তুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে: আইএসপিআর দেশব্যাপী নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বেনাপোল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থী নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার ছাত্র আন্দোলনে পাবনায় গুলি করা আ.লীগ নেতার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

হাফিজুর রহমান হাফিজঃ-
  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৭ Time View
উল্লাপাড়ায় আয়া-নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস করানোর অভিযোগে, সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
print news

উল্লাপাড়া সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড় কোয়ালীবেড় দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানোর
জন্য প্রতিষ্ঠানের সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম
শামসুল হক এই কারণ দর্শানো পত্র প্রদান করেন। এই পত্রটি বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা সুপার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী শাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে
আয়া রতœা খাতুন ও নৈশ প্রহরী নাঈম হোসেন ক্লাস নিয়ে আসছেন। সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন পত্র
পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে ওই মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনকে কারণ
দর্শানো পত্রটি প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে প্রতিষ্ঠানটির নৈশপ্রহরী নাঈম হোসেন ও আয়া রতœা খাতুন বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে এই
মাদ্রাসায় ৬ জন শিক্ষক নেই। ফলে তাদেরকে দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নিয়মিত বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ক্লাস
করানো হয়।

বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিক উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কারণ দর্শানো পত্রটি পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, তার মাদ্রাসায় শিক্ষক সংকটের কারণে নিরুপায় হয়ে তিনি নৈশপ্রহরী ও আয়া দিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য
হয়েছেন। শিক্ষক না থাকার কারণে এবতেদায়ী ও মাধ্যমিক শাখায় ক্লাস শুরু হলে প্রথম ঘন্টা থেকেই দুটি ক্লাস ফাঁকা
থাকে। এ কারণে নৈশ্য প্রহরী ও আয়াকে দিয়ে পাঠদান করানো হতো। আয়া ও নৈশপ্রহরী দিয়ে ক্লাস নেওয়া অনিয়ম
স্বীকার করে সুপার শফিক উদ্দিন বলেন, আয়া রতœা খাতুন বি এ পাস। তিনি শিক্ষার্থীদের খুবই ভালো পড়ান।
শিক্ষার্থীরাও তার ক্লাস করতে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে শিক্ষক পাওয়া গেলে রতœা বা নাঈম কখনই আর ক্লাসে
পাঠানো হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে কারণ
দর্শানো নোটিশ দেবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ পত্র পত্রিকায় এ ব্যাপারে সংবাদ
প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক সংকট থাকলেও নৈশপ্রহরী বা আয়াকে দিয়ে ক্লাস করানোর কোন নিয়ম নেই এবং ওই
প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কেন কম সে বিষয়েও ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews