বেশ অনেকটা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির দাম। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ছিল ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দামের কারণে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করা যাচ্ছে না।
এক সবজি বিক্রেতা জানান, বেশি দামে এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ কিনে এনে ১০ থেকে ২০ টাকার মরিচ বিক্রি করলে তার পোষায় না। এ রকম দাম থাকলে মরিচ বিক্রি বন্ধ করে দেবেন তিনি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি দাম দিয়ে মরিচ কিনলে তেমল ঝাল নেই। ফলে রান্নায় পরিমাণেও বেশি মরিচ দিতে হচ্ছে।
শ্যামলীর কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ২৪০ কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখি তা ৩২০ কেজি হয়ে গেছে। তবে কিছুটা নিম্ন মানের কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাসায় কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না-বান্না করা যায় না।
শ্যামলীর কাঁচাবাজারে একজন সবজি বিক্রেতা মিন্টু বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুধু আমাদের দোষারোপ করে লাভ নাই।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা বিল্লাহ হুসেন বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দামটা একটু বেশি বেড়েছে। আজ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনার বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মরিচের আমদানিও কম হচ্ছে।