কুমিল্লায় অবৈধভাবে ডিম মজুত করে রাখায় এক হিমাগার মালিককে এখন লাখ টাকা জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় ওই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারজানা আক্তার। এই সময় ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা প্রতিটি ডিম ৬ টাকা করে নিলামে বিক্রি করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজানা আক্তার। এই সময় তিনি হিমাগারের মালিককে ডিম মজুত রাখার অপরাধে হিমাগার মালিককে জরিমানা করেন। পরে সেখানেই তিনি ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম নিলামে বিক্রি করে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজানা আক্তার বলেন, হিমাগারের মালিকেরা অবৈধ মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে বিপুলসংখ্যক ডিম জব্দ শেষে রাত আটটা পর্যন্ত নিলামে ডিমগুলো বিক্রি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি জানান, বিক্রয় করা ডিমের মূল্য ২৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউএনও আরও জানান, কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ডিমের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ দিন মজুত রাখতে পারবেন। তবে হিমাগারের মালিকেরা দীর্ঘদিন ডিম মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।
এর আগেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত ১৬ মে সে অভিযানে এই মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২১ লাখ ডিমের অবৈধ মজুত জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় এই হিমাগারের মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জব্দ করা ডিম বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।