1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
কোটা বিরোধী আন্দোলকারীরা দাবি আদায়ে অনড় » Daily Bogra Times
Logo বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভূরুঙ্গামারীতে অতিথি হওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে হাতাহাতি রাস্তার করুন অবস্থা দেখে বিয়ে দিতে চায় না যে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের  নওগাঁয় ভারতীয় নাগরিক আটক করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রামে আসবে ২৫ হাজার টন চিনি তারেক রহমানের খালাসে সুন্দরগঞ্জে আনন্দ মিছিল বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারতের লোকসভায় প্রস্তাব সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাজ্য জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস নওগাঁয় খড়বাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে; চালকসহ নিহত ২ দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বগুড়ার শিবগঞ্জে ভাঙ্গারি দোকানে আগুন মান্দায় ন্যায্য মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রয়ের উদ্বোধন করলেন আব্দুল আউয়াল ডিসি  ভারতীয় হাইক‌মিশনার কে জরুরি তলব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বগুড়ায় পরকীয়ার যেরে প্রবাসীর বিরুদ্ধে বউ হত্যার অভিযোগ

কোটা বিরোধী আন্দোলকারীরা দাবি আদায়ে অনড়

নিউজ ডেস্কঃ-
  • শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
কোটা বিরোধী আন্দোলকারীরা দাবি আদায়ে অনড়
print news

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে বহাল থাকলেও তা প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে৷ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বিভাগ জানান কোটা বাতিলে হাইকোর্টের আদেশ অপরিবর্তিত থাকবে৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরও কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন৷ টানা তিন দিন ধরে তারা শাহবাগে আছেন

আদালতের রায়কে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার বিরোধী দাবি করে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে কোটার সমাধান করবেন বলে তারা জানিয়েছেন৷

আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবার আদেশ কোটা বহাল রাখতে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে কিনা এ বিষয়ে শুনানিতে আপিল বিভাগ বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক৷ রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন৷ আমরা শুনবো৷

রিটকারীদের পক্ষে এডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী দেশে না থাকায় আমরা শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেছিলাম৷ কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানির জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন৷ তিনি বলছিলেন-এটা নিষ্পত্তি না হলে নিয়োগ আটকে যাচ্ছে৷

আদালত তখন জানতে চান, এত আন্দোলন কিসের, রাস্তায় কী শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রাষ্ট্রপক্ষে বলেন- না না৷ এটা আমাদের কিছু নয়৷

আন্দোলন ছড়িয়েছে বিভিন্ন জেলায় কোটাবিরোধী এই আন্দোলন এখন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ার খবর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো৷ বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান৷ আন্দোলনের নেমেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরাও৷ বৃহস্পতিবার তারা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন৷

এর আগে ২০১৮ সালে আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে৷ পরিপত্র জারি করে সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্পোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা বাতিল করা হয়৷ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে৷ সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (আগের ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে৷

নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি পাঁচ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়৷

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ বাতিল চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাত জন ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন৷ গত ৫ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট৷ রায়ে সরকারের পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার আদেশ দেয়া হয়৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেয় চেম্বার জজ আদালত৷

কোটার বিরুদ্ধে যুক্তি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের একজন আসিফ মাহমুদ বলেন, হাইকোর্ট জনগণের দাবি ও প্রত্যাশার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷ আমরা শুরুতেই বলেছি এই রায় আমরা মানি না৷ আর আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে৷…আমরা মনে করি আমরা রাজপথে থেকেই কোটার একটা সমাধান নিয়ে ফিরব৷

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটা থাকার এখন আর কেনো যুক্তি নাই৷ কারণ এখন যারা এই সুবিধা পাচ্ছেন তারা তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের৷ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এখন আর এই সুবিধা নেয়ার বয়স নাই৷ তাদের নাতি-পুতিরা পাচ্ছেন৷ এটা হতে পারে না৷ মুক্তিযুদ্ধে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ওই কোটা ছিলো৷ এখন তো আর দরকার নেই৷

আসিফ মাহমুদ জানান, শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি নয়, অন্য গ্রেডের চাকরিতেও তারা কোটার অবসান চান৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ ভাগ কোট রাখার পক্ষে তারা৷

কোটার পক্ষে যে যুক্তি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, আমরা আদালতের কাছে রিট করেছিলাম ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে৷ আদালত মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগ কোটা বহাল করেছে৷ আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি৷ আশা করি আপিল বিভাগেও আমরা ন্যায়বিচার পাবো৷ বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে কোটাবিরোধীদের পূর্ণাঙ্গ আপিল করতে বলেছেন৷ তাই আমরা দাবি করছি সরকার ২০১৮ সালের পরিপত্র যেন হাইকোর্টের রায় মেনে অবিলম্বে বাতিল করে৷

তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগ কোটা ছাড়া অন্য কোটার জন্য তারা রিট করেননি৷ ফলে আদালতের রায় অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা নেই৷ যারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলেরই দাবি করছে৷ তারা আদালতের রায়ও মানতে চান না দাবি করে তিনি বলেন, এর পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আছে৷ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামাচ্ছে৷ তারা ২০১৮ সালের আগেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলেরই আন্দোলন করেছিলো৷ তাদের সব আপত্তি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে৷

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews