রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে আটকালেও ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফলোঅন এড়াই টাইগাররা। পাকিস্তানি বোলার হতাশ করে সেঞ্চুরি পথে ছুটতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
কিন্তু ৫২তম ওভারে মিরাজকে ক্যাচ আউট করে নিজের ফাইফার পূরণ করেন খুরাম শেহজাদ। ৭৮ রান করে আউট হন এই টাইগার ব্যাটার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৩ রান। লিটন দাস ৮৩* এবং হাসান মাহমুদ ০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন আগের দিনে শূন্য রানে অপরাজিত থাকা জাকির হাসান। ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। এরপর শান্তকে (১) বোল্ড করে তৃতীয় উইকেট তুলে নেন খুরাম শেহজাদ।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিগ ব্যাশে রিশাদ
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হক। ২ বলে ১ রান করে ক্যাচ তুলে দেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৯ বলে ৩ রান করে আমির হামজার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর সাকিবকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন খুরাম। এতে দলীয় ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ফলোঅন এড়ানো চ্যালেঞ্জ সামনে আশে টাইগাররা। তবে টপ অর্ডারদের আশা যাওয়ার দিনে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজনের ১০০ রানের জুটিতে ফলোঅন এড়াই টাইগাররা। ৮৩ বলে নিজের ১৮তম ফিফটি তুলে নেন লিটন। অপর প্রান্তে ৮১ বল খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটির দেখা পান মিরাজ। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তবে ৭৮ রান করে কাঁটা পড়েন মিরাজ।
এরপর ১ রান করে লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন তাসকিন আহমেদও। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন লিটন।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শেষ সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২ ওভারে ১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতে স্বাগতিকদের থেকে ২৬৪ রানে রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে শান্ত বাহিনী। জাকির হাসান ০* এবং ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাদমান ইসলাম।