ভ্যাপসা গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এক পিস তালের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে ছোট বড় সব শ্রেণি পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ তাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে, ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। তালের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধক। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ নিরাময়েও আছে এই ফলের ভূমিকা রয়েছে।
উপজেলার কুটি চৌমুহনী কাজী পরিবহন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় তাল বিক্রেতা জমির আলির সঙ্গে। তিনি বলেন, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে তালের শ্বাস প্রিয়। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি কিনে খায়। দামেও বেশ সস্তা, তাই বাজারে এর কদরও বেশি।
তাল শাঁস ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, আমি মাঝে মাঝে তাল শাঁস কিনে খাই। নরম শাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে।
আরিফুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, ছেলে-মেয়েরা খেতে চাওয়ায় তালের শাঁস কিনছি। প্রতিটি তাল ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে গাছের মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাছে ফলের সংখ্যা কমে গেছে। তাই তালের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। তবে নতুন গাছগুলো বড় হলে এবং ফলন ধরলে এ মৌসুমি ফলের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাজেরা বেগম জানান, তাল গাছ বজ্রপাতে ক্ষতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফল বহুমুখী উপকারে আসে। তালের শাঁস প্রচণ্ড দাবদাহে প্রশান্তি এনে দেয়।