আদমদীঘি (বগুড়া ) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে
মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ২১টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার
নেতৃত্বে একটি দল ওই গ্রাম পরিদর্শনে করেছেন । বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রাণীসম্পদ
কর্মকর্তা ডা.আনিসুর রহমান’সহ উপজেলার প্র্রাণীসম্পদ দপ্তরের একাধিক চিকিৎসক ওই গ্রাম
পরিদর্শনে আসেন এবং মারা যাওয়া ও রোগে আক্রান্ত গরু মালিকদের সাথে কথা বলেন । খুড়া ও
ল্যাম্পী স্কিন রোগে একই গ্রামে অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক গরু মারা যাওয়া ও এসব রোগে
একাধিক গরু আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যেমে প্রকাশিত হওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের
বিশেষঞ্জ দল গ্রামটিতে পরিদর্শনে আসলেন । হঠাৎ করে একই গ্রামে এতগুলো গরু মারা যাওয়ায় ওই
গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে গরুর মালিকদের মাঝে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে ।
গত সোমবার সকালে ওই গ্রামের পূর্বপাড়ায় হাসান আলীর প্রায় ১৪ মন ওজনের ফ্রিজিয়ান ষাঁড়
খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । একই দিন সকালে গ্রামের দক্ষিনপাড়ায় ভুট্রু নামের আরেক
কৃষকের একটি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে । এর আগে ওই গ্রামের নজরুল ওরফে নজুর ও রবিউলের
দুটি,পিন্টু,ফেরদৌস,চাঁন মিয়া, নান্টু,মেজর,বগা মিয়া,রায়হান ও বাদলের একটি করে গরু’সহ
মোট ২১টি গরু মারা যায় ।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. আমিরুল ইসলাম বলেন, এতগুলো গরু একটি গ্রামে মারা
যাওয়ার ঘটনায় সকলেই চিন্তিত । খুরা ও ল্যাম্পী স্কিনের বাইরে অন্য কোন রোগে গরু আক্রান্ত হয়ে
মারা যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষায় আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে একটি বিশেষঞ্জ চিকিৎসক দল
দমদমা গ্রামে আসবেন । তিনি বলেন,বুধবার ওই গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গরু মালিকদের সাথে
মতবিনিময় হয়েছে এবং তাঁদের নানা প্রকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ।
জেলা প্রাণী সম্মদ কর্মকর্তা ডাঃ আনিসুর রহমান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি এই
গ্রামের গরুগুলি খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল এলেই এবং
অনান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে আসল ঘটনা।
চিকিৎসক দলের মধ্যে উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. পূজা সাহা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ
সম্প্রসারন অফিসার ডা. মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন ।