গাজায় ফিলিস্তিনিদের এবারের ঈদুল ফিতরটা অন্যরকম। ধ্বংস, মৃত্যু আর ক্ষুধার এ উপত্যকায় এবারের ঈদ এসেছে ইসরায়েলের অবিরত হামলার মধ্যেই।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে দেশটিতে এক হাজার ১৩৯ জনের প্রাণ যায়। হামাস আড়াইশ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে।
জবাবে ইসরায়েল হামাসশাসিত গাজায় হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ হাজার ৯৯৩ জন।
রমজানের সমাপ্তি উপলক্ষে এবং ঈদুল ফিতরকে স্বাগত জানাতে গাজায় ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে তাকবীর পাঠ করেন।
ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত, স্বজন হারানো ফিলিস্তিনিদের অনেকে ঈদ ঘিরে টুকটাক কেনাকাটা করেছেন। ঈদের আগে হাজারো ফিলিস্তিনি গাজার কিছু অংশে বাজারগুলোতে ভিড় জমান।
ঈদুল ফিতরে রাফার শিশুদের কিছুটা আনন্দ চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পীরা। ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পী মুসাব আল ঘামরি বলেন, ঈদের দিনটি আমরা হারাতে দিতে পারি না। বোমাবর্ষণ, ভয়, মৃত্যুর মধ্যেও ঈদের উদযাপনে শিশুদের আনন্দ দিতে চাই।
ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে হামাস এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের সামর্থ্য ও অবিচলতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত (ঐতিহাসিক) ফিলিস্তিনে এবং সারা বিশ্বের বাস্তুচ্যুতি শিবিরে থাকা জনগণ আমাদের সঙ্গে এবং গাজার জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে হামাস বলে, ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে আমরা আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে অভিনন্দন জানাই। আমরা আশা করি, ফিলিস্তিনিদের জন্য এবং ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসানের লক্ষ্যে প্রকৃত সমর্থন বাড়তে থাকবে।
এদিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ স্বীকার করেন, গাজায় দুর্ভোগের কারণে অনেক অস্ট্রেলীয় মুসলিমের ঈদ দুঃখে কাটবে।
তিনি বলেন, এটি অনেকের জন্য কষ্টদায়ক এবং আতঙ্কের সময়। আমি আশা করি, আপনারা পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে কিছু সান্ত্বনা এবং শক্তি এবং বিশ্বাসের অভিব্যক্তি খুঁজে পাবেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস গাজায় অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জের বিষয়টি স্বীকার করে ঈদবার্তায় সমবেদনা ও সংহতির আহ্বান জানান।