হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। এরচেয়ে কম রানের টার্গেট দিয়েও সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই প্রত্যাশা ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে আগের ম্যাচগুলোর ভুল শুধরে এদিন পরিণত ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা করেছে ৭৫ রান। বাংলাদেশের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। বেনেটের ৭০ রানের পর রাজা খেলেন ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস। তাতে ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ৪-১ ব্যবধানে।
শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। যেখানে দলে প্রাধান্য পেয়েছে ব্যাটাররা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শক্তি কমেছে বোলিংয়ে। যার খেসারতটাও ম্যাচ শেষে দিতে হয়েছে নাজমুল শান্তর দলকে। বিশ্বকাপের আগে দুর্বল জিম্বাবুয়েকেও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো দুর্বল জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে ফুটে উঠেছে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা।
বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা জুটি। দু’জনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৫ রান। এরপর বেনেট ৪৯ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে শেষ ২৯ বলে ৪৫ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ের। সুযোগ তাই তখনও ছিল বাংলাদেশের। তবে এদিন বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
আসর জুড়ে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া রাজা শেষ বেলায় রানের ক্ষুধা মিটিয়েছে। ব্যাট হাতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ৪৬ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। দায়িত্ব নিয়ে শেষটাই জয়ে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ সফর। বাঁচিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে নিশ্চিত হোয়াইটওয়াশ থেকে। শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৮ বল হাতে রেখে দারুণ এক জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলকে টেনে তুলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ হওয়া শান্ত শেষ ম্যাচে এসে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ পর্যন্ত থামেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। এরপর ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। মাঝে ১৭ বলে ২১ রান করেন সাকিব। মাঝের কোনো ব্যাটারই সেই অর্থে কেউই ভালো স্ট্রাইক রেট বজায় না করায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত গড়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় তো শঙ্কা জেঁকে বসেছিল দেড়শ পার করা নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন জাকের আলি। ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি পাইয়ে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের।