ঢাকার বাজারগুলোতে গত বৃহস্পতিবার ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হয়েছিলো ১২০ টাকা। কিন্তু চারদিনের ব্যবধানে ডজনে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। পাশাপাশি পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা যায়। খুচরায় প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ১১ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২ টাকা।
সরেজমিনে গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪ দিন আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া ডিমের ডজনে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর ১১০ টাকায় বিক্রি হওয়া সাদা ডিম ডজনে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৩ সপ্তাহের তীব্র তাপপ্রবাহে দেশে ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে হঠাৎ বাজারে ডিমের দাম বাড়তে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে খামারী ও ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী আরাফাত মহামুদ বলেন, গেল সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করেছি ১২০ টাকায়। কিন্তু পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বাড়ায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
তবে প্রান্তিক খামারিরা ডিমের দাম কমা-বাড়া নিয়ে তেজগাঁও আড়তমালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেন আড়তমালিকরা। সুযোগ বুঝে তারা এখন দাম বাড়াচ্ছে।
রাজশাহীর ডিমের খামারি ফরহাদ হোসেন সুমন বলেন, ডিম বাজারজাত করার ক্ষেত্রে আমরা ঢাকার বাজার ধরার চেষ্টা করি। সেখানে থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় আমরা সেই দামেই ডিলারের কাছে ডিম বিক্রি করি । ফলে আমরা প্রতিটি ডিম বিক্রি করছি ৯ টাকা থেকে ৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
ধামরাইয়ের ডিম উৎপাদনকারী পলাশ আহমেদ জানান, গরমের কারনে অনেক মুরগি মারা গেছে। তাই ডিম উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। খুচরায় একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১১ থেকে ১২ টাকা। কিন্তু আমরা প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য পাচ্ছি ৯ টাকা ৫০ পয়সা কিংবা তার থেকে একটু বেশি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে ডিমের দাম নির্ধারণ করে তেজগাঁও আড়তমালিকরা। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে।