দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। ২০২১ সালে তিস্তা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশকে চীনা একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন জমা দেয়। দ্রুতই তিস্তা প্রকল্প শুরু করতে আগ্রহী তারা। বিনিয়োগেরও আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি।
তিস্তার বিশাল এই প্রকল্পের কাজ পেতে ভারত ও চীনের মধ্যে একধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দ্রুতই একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে শঙ্কা তৈরি হয়, চীন-ভারতের ভূরাজনৈতিক খেলায় হয়তো ঝুলে যাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা।
তবে চীন সরকারও তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে রাজি রয়েছে বলে জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর নিয়ে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের আলোচনা ‘ডিক্যাব টকে’ অংশ নিয়ে এ কথা জানান তিনি। প্রকল্প ঘিরে বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্তকে চীন সম্মান করে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে অধিকার কর্মীরা বলছেন, চীনের এমন প্রস্তাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে।
রংপুর ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় অর্থায়নের ক্ষেত্রে যদি ভারত-চীন উভয় দেশের সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসে এবং প্রকৌশলগতবিদ্যা যদি এখানে সমন্বয় হয়, তাহলে উত্তর জনপদের কাছে উন্নয়নের নতুন মডেল সৃষ্টি হবে।
নানা সমীকরণ ভেদ করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনে নতুন দিনের সূচনা হবে- এমন প্রত্যাশা উত্তরের বাসিন্দাদের।