বেশ কয়েক মাস পর আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। কোরবানি ঈদের আগে আগে এক দফায় বেড়ে কিছুদিন স্থির থাকার পর এবার কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে পণ্যটির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।
দীর্গদিন পর পেঁয়াজের বাজারে সৃষ্ট এ অস্থিরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতা সাধারণ। আর ব্যবসায়ীরা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন সরবরাহ সংকট।
যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা জানান, কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এখন তা ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে। এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তারা।
তবে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করছে।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।