মোস্তাফিজার রহমান জাহাঙ্গীর কুড়িগ্রাম,প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিদ্যালয় উন্নয়নের কথা বলে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে। উপজেলার আজোয়াটারি মাস্টারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোসেফ আলী ও সভাপতি জাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। আর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২/৩ মাস আগে ওই বিদ্যালয়ে একজন আয়া ও একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) নিয়োগের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়োগের অনুমতি পাওয়ার পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অভিভাবকদের জানান, নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা নেয়া হবে। তারা সমুদয় টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে খরচ করা হবে বলেও অঙ্গীকার করেন। কিন্তু ওই দুজনের নিয়োগ সম্পূর্ণ করার পরে অনেকদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তারা বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন কাজ করেননি। কাজ না করে প্রধান শিক্ষক জোসেফ আলী ও সভাপতি জাইদুল ইসলাম যোগসাজস করে সমুদয় টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বিদ্যালয় উন্নয়নের টাকা আত্মসাতে সফল হলে বিদ্যালয়টির অপূরণীয় ক্ষতি হবে উল্লেখ করে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জোসেফ আলীর কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ওই দুই পদের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাঙ্গা আছে সেটি সরকার ঠিক করে দিবে আমরা ঠিক করবো কেন। তারপরেও যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত হোক। তদন্ত হলে সবাই আসল সত্যটা জানতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাইদুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের নির্দেশনা ও বিধিবিধান মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি আরও বলেন ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কতিপয় অভিভাবক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।