মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিবেদক:২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। ৩১ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আদায় হয়েছে ৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ছাড়াও আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিল বকেয়া নেই বলে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর তথ্যমতে, ৬টি উপজেলা হাকিমপুর (হিলি), ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর নিয়ে গঠিত এই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২।
জুন মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সদর বিরামপুরে আদায় হয়েছে ৯ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭ টাকা। ঘোড়াঘাট জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার ৯৫ টাকা। পার্বতীপুর জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৭ হাজার ৭৬১ টাকা। নবাবগঞ্জ জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৭ টাকা। হিলি সাব জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৫ হাজার ১৩১ টাকা। আমবাড়ি সাব জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ টাকা। রাণীগঞ্জ সাব জোনাল অফিসে আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬ টাকা। ৬ উপজেলায় মোট আদায় হয়েছে ৩১ কোটি ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭২৩ টাকা।
হিলি সাব জোনাল অফিসের গ্রাহক মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমার একটি আবাসিক ও একটি বাণিজ্যিক মিটার আছে। আমি কোন মাসের বিল বকেয়া রাখি না। প্রতিমাসের বিল সময় মতো দিয়ে থাকি। গত জুন মাসের চলতি বিল পরিশোধ করেছি। তবে বিল আমি বকেয়া রাখি না। কিন্তু হিলিতে বিদ্যুতের যে লোডশেডিং, আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমরা চাই বিদ্যুতের সরবরাহ যেন ভাল হয়।
হিলি সাব জোনাল অফিসের লাইনম্যান মানিক মিয়া বলেন, জুন মাসে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। বিল পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের তাগিদ দিয়েছি। হিলির গ্রাহকরা সময় মতো বিল পরিশোধ করে থাকেন। আশা করছি আমরা আশানুরূপ বকেয়া বিল আদায়ে সক্ষম হবো।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সদর বিরামপুর পৌর মেয়র আক্কাস আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমার পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখি না। জুন মাসের বিলও পরিশোধ করা হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, আমার বিরামপুর উপজেলার সকল দপ্তরের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছে। আমার অফিসেরও বিল দেওয়া হয়েছে। তবে এই উপজেলার পূর্বের একটা পল্লী বিদ্যুতের একটা বিল বকেয়া ছিলো। সেটিও আমি জুন মাসে পরিশোধ করেছি।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমার উপজেলার কোন অফিসের বিল বকেয়া নেই। আমি প্রতিনিয়ত প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সময় মতো বিল পরিশোধের জন্য বলে থাকি। এছাড়াও উপজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি ও আবাসিক, বাণিজ্যিক এলাকার কোন বিল বাঁকি নেই। আমি জানতে পারলাম দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল জেনারেল ম্যানেজার দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমরা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা আর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। অনেকটা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিল আদায় চলছে, আশা করছি চলতি মাসেরও বিল আদায় হবে। নিদিষ্ট সময়ে বিল পরিশোধের জন্য আমি ধন্যবাদ জানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সরকারি, বেসরকারি দপ্তর সহ সকল গ্রাহকদের।