বগুড়ায় আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় রাজশাহী বিভাগের সবুজ দল টাইব্রেকারে লাল দলকে হারিয়েছে।
এর আগে বগুড়ার করনেশন ইন্সটিটিউশনের মাঠে খেলার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, টুর্ণামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম।
জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া দুটি দলের খেলা দেখার জন্য আজ শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরের পর থেকেই খেলা দেখার জন্য দর্শক মাঠে আসতে শুরু করে। এক সময় করনেশন ইন্সটিটিউশনের মাঠ দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আশে পাশের বহুতল ভবনের ব্যালকনি ও ছাদ থেকেও ফুটবলপ্রেমী দর্শকরা খেলা উপভোগ করেন। খেলা শুরু থেকেই সবুজ দল খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। দলের আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়রা মাপা ছকে খেলতে থাকে। প্রতিটি দলে ৪০ ঊর্ধ বয়সী ৪ জন করে খেলোয়াড় থাকায় খেলায় ভিন্ন মাত্রা আসে। বগুড়ার বুলবুল, রুকু, সুমী সবুজ দলের হয়ে মাঠে নামেন। এছাড়াও এই দলের হয়ে গোল পোস্ট আগলিয়ে রাখেন প্রীতম। টাইব্রেকারে বল রুখে দেওয়ার জন্য তিনি দিনের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন। দলের হয়ে বাদশা, মুন্নু, আরাফত, আলামিন, সাব্বির, সুমন, বাধন, সৈকত, রাব্বি, শরিফ, সাগর, তাকওয়া খেলেন। লাল দলের হয়ে গোল সামলিয়েছেন জাতীয় ফুটবলার নেহাল। এছাড়া খেলেছেন সুইট, বুলেট, কলিন, মোনায়েম, বাদল, শিমুল, রাফায়েল ও মানিক। খেলা শুরু থেকে সবুজ দল খেলা নিয়ন্ত্রণে নিলেও মাঝে কিছু সময় খেই হারিয়ে ফেলে। খেলা চলে যায় লাল দলের দখলে। এরপর আবার আক্রমন পাল্টা আক্রমনের মধ্যে দিয়ে খেলা এগিয়ে যায়। খেলার প্রথমার্ধে উভয় দল গোল পেতে ব্যর্থ হয়। ফলে অমিমাংসিত ভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমন রচনা করে লাল দল। এই সময় লাল দলের ফরোয়ার্ড রাফেল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে টপকে ব্যাকভলি করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি মাঠেই জ্ঞান হারান। পড়ে তাকে জরুরিভাবে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ সময় খেলা কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকে। এর কিছক্ষণ পর লাল দলের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ সবুজ দলের খেলোয়াড়কে ডি বক্সে ফাউল করলে রেফরি বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টি শটের নির্দেশ দেন। এসময় গোল রক্ষক নেহাল আপত্তি তোলেন। ফলে খেলা এবারও কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে তবে পেনাল্টি শট থেকে গোল পেতে ব্যর্থ হয় সবুজ দল ফলে খেলা অমিমাংসিত রয়ে যায়।