বগুড়ায় ৫ লাখ ১২ হাজার ৬৮৮ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে এসব বিষয়ে অবহিত করা হয়।
ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ স্লোগানে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ায় ১ জুন দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইন চলবে।
সভায় সিভিল সার্জন ডা: শফিউল আজম বলেন, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৯২১ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৭ জন শিশুকে লাল রঙয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মোট ২ হাজার ৮শ’ ৬৭টি কেন্দ্রে দুই প্রকারের এই শক্তিশালী ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে কোন বাচ্চার অভিভাবক বা বাচ্চা এই ক্যাপসুল না খেতে চাই তো তাকে জোর করে খাওয়ানো হবে না। এই ভিটামিন এ খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে অনেকেই গুজব ছড়াতে পারে। এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোন শিশু যদি ক্যাম্পেইন চলাকালে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে ব্যর্থ হয় তাহলে নিয়মিত কেন্দ্র থেকে পরে গ্রহণ করতে পারবে। এবারের ক্যাম্পেইনে জেলার দুইটি বাস টার্মিনালে থাকবে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনের প্রতি কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবীসহ মোট ৩ জন করে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
সভায় বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভীন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়নসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।