বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া-১ ( সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনসহ ছয়জনের জামিন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক জিনিয়া জাহান এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদ এলাকা থেকে সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। লিটন বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহাদারা মান্নানের ভাই।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- উপজেলার বাসিন্দা যথাক্রমে- লিমন, রায়হান, রানা, রাজন ও নিপুন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, লিটনসহ ছয় আসামিকে দুপুর দুইটার দিকে আদালতে তোলা হয়৷ মামলার বাদী পক্ষ আহত ব্যক্তির মেডিকেল রিপোর্টসহ অন্য কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন প্রদান করেছেন।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে একই দলের আরও দু’জন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা হলেনঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য শাহাজাদী আলম লিপি।
আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজোয়ানুল হক রিজভী গত রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে সোনাতলা পৌর এলাকায় ঈগল প্রতীকের মিছিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে ভেলুরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে লাঠি-সোটা এবং রড দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে রিজভী মারাত্মত আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় আহত রিজভীর স্ত্রী নাসরিন সাথী তার স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার পর পরই পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী জোড়াগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মতিনকে গ্রেফতার করে। পরে র্যাবের অভিযানে সোমবার রাতে মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।