আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথম বারেরমতো কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল নিয়ে গবেষণা করার জন্য মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ‘এক্সপোস্যাট’ বা ‘এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। এর আগে কেবলমাত্র আমেরিকা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য মহাকাশে রকেট পাঠায়। মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এ ছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপোস্যাটের’ তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলো নিয়েও এই কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা।
এক্স-রে ফোটন ও তার পোলারাইজেশন ব্যবহার করে ‘এক্সপোস্যাট’ কৃষ্ণগহ্বরের কাছের রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়া নিউট্রন স্টার সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইট। পোলিক্স পে-লোডের থমসন স্ক্যাটারিং ব্যবহার করা হবে এর জন্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এক্সপোস্যাট’ তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি রুপি বা ৩০ মিলিয়ন ডলার। এই স্যাটেলাইট মহাশূন্যে পাঁচ বছর থাকতে পারবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২১ সালে এই একই মিশনের জন্য মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার ‘আইএক্সপিই’ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৮৮ মিলিয়ন ডলার। নাসার স্যাটেলাইটটি মহাকাশে দুই বছর কাজ করবে বলে ধারণা করা হয়।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করছে। মাত্রই বছর শুরু হলো। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। ২০২৪ গগনযানের বছর।