গত বুধবার (১২ জুন) সকালে ওই ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১১ জুন) মধ্যরাতে তাদের প্রত্যাহার করে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই পুলিশ সদস্যরা হাতীবান্ধা থানার আওতায় দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
হাসমত আলী নামে এক ভুট্টা ব্যবসায়ী জানান, মঙ্গলবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার সাধুর বাজার থেকে পার্শ্ববতী ডিমলা উপজেলায় যাওয়ার পথে ফ্লাড বাইপাসের মাঝামাঝি অন্ধকারে তাকে পথরোধ করে দুই ব্যক্তি। এ সময় তার কাছে থাকা ৪৩ লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই ব্যক্তি। তখন হাসমত আলী চিৎকার দিলে ওই দুই ব্যক্তি পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়।
এ সময় ওই এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হন এবং লালমনিরহাট -নীলফামারী সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নারায়ন বম্মর্ণ ও মামুন মিয়াকে প্রত্যাহার করে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি রাতে পুলিশের সঙ্গে মীমাংসা করে নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
হাতীবান্ধা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, অভিযোগের কারণে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।