ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শুক্রবার সকাল থেকে যানজট ছিল। সেই জট এড়াতে ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব গোলচত্বর দিয়ে ভুঞাপুর -টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করছে। এতে আঞ্চলিক সড়কেও ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক একমুখী করা হয়েছে। ফলে ওই সড়কে শুধু উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচল করছে। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব গোলচত্বর দিয়ে ঘুরিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল ২৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্নস্থানে যানজট দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দুপুর ১২টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ রয়েছে ব্যাপক। এ ছাড়া মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করছে।
ঢাকাগামী এসআর পরিবহনের সুপারভাইজার জানান, এক ঘণ্টা হলো একইস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। ঢাকাগামী সব যানবাহন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাড়িগুলো বিপরীত দিক থেকে আসার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপযোগে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও গণপরিবহন না পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষ এভাবে খোলা ট্রাক ও পিকআপে করে বাড়ি যাচ্ছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। এবার ঈদযাত্রায় তেমন কোনো ভোগান্তি নেই।