1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
রোজার আগের দিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু বেগুন শসা » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কাহালুতে নকল সোনার মূর্তি দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার দুই শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সারিয়াকান্দিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি ফুলবাড়ীতে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবহার ওদক্ষতা উন্নয়নে সেমিনার বদরগঞ্জে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা  বগুড়ার আদমদীঘিতে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক সেমিনারছবি জয়পুরহাটে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষকরা ফুলবাড়ীতে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে কৃষকের কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ সাঁথিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার বগুড়ার শেরপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত লালমনিরহাটে সড়কের পাশে পড়েছিলো বৃদ্ধের নিথর মরদেহ! গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর হতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ২   রাজশাহীতে বেতনের দাবিতে  কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ পেট্রাপোলে সোনার বারসহ ভারতীয় ট্রাক চালক আটক

রোজার আগের দিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু বেগুন শসা

নিউজ ডেস্কঃ-
  • সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ৬২ বার পঠিত
রোজার আগের দিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু বেগুন শসা
print news

নিউজ ডেস্কঃ- নিয়ন্ত্রণহীন ভোগ্যপণ্যের বাজার। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। রোজা ঘিরে লেবু, বেগুন ও শসার দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলছে। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই। 

নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি প্রথম রমজান। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এ রোজা ঘিরে অস্থির করে তুলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে। এরই মধ্যে দেশের সার্বিক অর্থনীতি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানেও আলোচনায় উঠে আসে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেই বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি বছরের মতো লেবু, শসা, বেগুনের দাম বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ টাকা, বেগুন ও শসা কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দু’দিনে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তির দিকে।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।

লেবুর এমন আগুন দামে আশ্চর্য হয়েছেন খোদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। রোববার ঢাকার মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে কাঁচাবাজার বণিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দেখলাম এক হালি লেবুর দাম ৬০ টাকা। তাতে একটির দাম পড়ে ১৫ টাকা। অথচ একটু আগে আমার নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইলে ফোন করে জানলাম, সেখানে পাইকারিতে প্রতিটি লেবু ৫ থেকে ৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ঢাকায় এসে একটা লেবুর দাম হয়ে যাচ্ছে তিনগুণ।’

তিনি বলেন, এসব নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। তবে রাতারাতি নয়, কয়েক মাসের মধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।  তদারকির জন্য নিয়মিত টিমের পাশাপাশি আলাদা টিম বাজারে কাজ করবে। বাজারে কিছুটা দাম বাড়লেও কোনো পণ্যের সংকট নেই। পেয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন সর্বোচ্চ ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। কয়েকদিন আগেও পণ্যটি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাওরান বাজার, মিরপুরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে ৮০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

রমজানে অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে, তবে সেগুলোর আমদানি সংকট ও ডলারের দাম বাড়ার মতো কারণ আছে। তবে দেশের উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটে লেবুর। আমদানির প্রশ্ন না থাকায় লেবুর সঙ্গে ডলারের দর বাড়ার সম্পর্ক নেই। তবু অস্বাভাবিক লেবুর দাম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে যে লেবু ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে গত দু’দিন ধরে তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। শসার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

তারা বলেন, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের রোজার আগে পণ্যগুলোর দাম বাড়ার কারণ জানেন না বিক্রেতারা। তারা বলছেন, রোজা আসলে দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছরই রোজা এলেই জিনিসের দাম বাড়ে। পরে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষগুলো কিছুদিন লোক দেখানো অভিযান চালাবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবে এবং পণ্যের দাম ১০০ টাকা বাড়ার পর ৫ টাকা কমবে। এটাই নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। এতে সাধারণ জনগণের কষ্ট ভোগ করতে হবে। 

ইফতারির অন্যতম উপকরণ হলো শসা। বাজারে এখন তিন ধরনের শসা পাওয়া যাচ্ছে। হাইব্রিড শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দেশি ১১০ থেকে ১২০ দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। অথচ কয়েকদিন আগেও দেশি ও হাইব্রিড দুই জাতের শসার কেজি কেনা গেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews