লুৎফর রহমান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, এতে করে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করছেন অনেক অভিভাবক। গত রবিবার সরজমিন ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
বেলা ১টায় দেখা যায় বিদ্যালয়ে মাত্র ৬ জন শিক্ষার্থী এবং ৩ জন শিক্ষকের উপস্থিতি থাকলেও প্রধান শিক্ষক ঋষি কেশ বর্মন অনুপস্থিত।
জানা গেছে, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০৯ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ঋষি কেশ বর্মন। তখন থেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ১২টার মধ্যেই ব্যাক্তিগত কাজে চলে যান ঋষি কেশ বর্মন। আর এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান বলে নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন অবিভাবক। তারা আরো জানান প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে বিদ্যালয়টিতে দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে ৩জন ও চতুর্থ শ্রেনীতে ৩জন শিক্ষার্থী ক্লাস রুমে অবস্থান করছেন, ৫ম শ্রেনীতে নেই কোন শিক্ষার্থী । বিদ্যালয় উপস্থিত নেই প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপস্থিতি এত কম কেন প্রশ্নের জবাবে, সহকারী শিক্ষিকা রত্না রানী বলেন, রবিবার করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়। প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ কাজে স্যার (প্রধান শিক্ষক )হাতীবান্ধা গেছেন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ঋষি কেশ বর্মন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন হাতীবান্ধায় একটি বিশেষ কাজে এসেছি।
স্কুল ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বেলাল হোসেন। বেলাল হোসেন আরো জানান, প্রধান শিক্ষক কোথাও গেলে মুভমেন্ট খাতায় স্বাক্ষর করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ওইদিন প্রধান শিক্ষক ঋষি কেশ বর্মন কোন মুভমেন্ট খাতায় স্বাক্ষর করেননি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত না করেই ব্যাক্তিগত কাজে চলে গেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।