লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। দক্ষিণ লেবাননের গ্রামে গ্রামে টার্গেটভিত্তিক স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। যদিও হামলাটি সীমিত এবং নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।
আল জাজিজার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমান হামলা শুরু করেছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পরে আশেপাশে বোমাবর্ষণ করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তারা জানায়, সোমবার লেবাননে হামলায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল হামলার ব্যাপারে বলেছে, কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে ‘নির্দিষ্ট এবং সীমিত’ স্থল অভিযান শুরু করেছে সেনারা। ব্লু লাইনের কাছে অবস্থিত হিজবুল্লাহর এই অবকাঠামোগুলো ইসরায়েলি শহরগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেয় দখলদার ইসরায়েলর নিরাপত্তা পরিষদ। ওই সময় জানানো হয়, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
লেবাননে স্থল হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় ধারণা করা হচ্ছিল, স্থল সেনাদের লেবাননে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে এমন তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই স্থল হামলা হবে ‘সীমিত, স্থানীয় এবং হিজবুল্লাহর নির্দিষ্ট অবস্থান’ লক্ষ্য করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ লেবাননে সীমিত এবং স্বল্পমেয়াদী স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের উত্তর লেবানন দখল করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সংবাদমাধ্যমটিতে দাবি করা হয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলের নতুন স্থল অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি চালানো হচ্ছে স্থল, আকাশ এবং কামান বাহিনীর সমন্বয়ে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবার ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এমন কোনও স্থান নেই যা ইসরায়েলের নাগালের বাইরে। নেতানিয়াহু প্রশাসনের নির্দেশে হামলা অব্যাহত আছে লেবাননে। পাল্টা জবাবে, তেল আবিবকে ঠেকাতে হিজবুল্লাহ প্রস্তুত বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে ফ্রান্স ও পাকিস্তানে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স। রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার ফরাসি নাগরিক। বিক্ষোভ চলছে পাকিস্তানেও।