বগুড়া প্রতিনিধিঃ- জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বগুড়ার শাজাহানপুরে মারামারি ও বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মারামারির ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে রোকেয়া, জাহিদুল, সোবহান, ছামসুল ও রুহুল আমীন নামের ৫ ব্যক্তি ওই এলাকার মৃত ইমান হোসেনের ছেলে ইব্রাহিমের কাছ থেকে ৭ শতক জমি কিনে এবং তাতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। অপরদিকে ১৯৯৫ সালে একই সম্পত্তি ইব্রাহিমের দাদী নেকজান বেওয়ার নিকট থেকে কিনেন ওই এলাকার মৃত নুরু হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ। জমির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে ২০০৮ সালে আদালতে মামলা হয়। যা বিচারাধীন। এক পর্যায়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমির গাছ থেকে সুপারী পাড়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।
পরদিন অর্থাৎ গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফের দু’পক্ষের মধ্যে মারামরি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিটে আহত করে প্রতিপক্ষ।
মারামারিতে মাদলা ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫), তার ভাসুর শামছুল চাচা শ^শুড় জাহিদুলসহ প্রতিপক্ষের আব্দুল মজিদের ছেলে জিহাদ (২৪) আহত হন। আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জমি নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদলা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।