1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী » Daily Bogra Times
Logo শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দিনাজপুরে বীরগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪ বিরামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন  পাঁচবিবিতে টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন উল্লাপাড়া উপজেলার বেতবাড়ী-শাহজাহানপুর কাঁচা সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী ধর্ষণ বিষয়ে যা বললেন অভিনেত্রী মম মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকার ঘোষণা ম্যাক্রোঁর রায়পুরায় বিজয় দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ                                                        নিজের বাল্য বিয়ে নিজেই বন্ধ করে এখন লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসার চালাচ্ছে শারমিন আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির পরিচিতি ও সংবর্ধনা ডিমলায় কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায় হাটে পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জন আটক সারিয়াকান্দিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে মানববন্ধন 

শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  • মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
শেরপুরে অবৈধভাবে মানব ভ্রুণ হত্যার রমরমা ব্যাবসা, টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী
print news

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বাংলাদেশে গর্ভপাত বেআইনি বা দন্ডনীয় অপরাধ। এগুলোর কোন তোয়াক্কা না করেই
শেরপুর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশে পৌর শহর এলাকায় বাসা ভাড়া
নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত, মানব ভ্রæন নষ্ট বা হত্যার রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১০- ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ভ্রুণ হত্যার ব্যাবসা চালিয়ে
গেলেও নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের। হাতের নাগালে এমন ভ্রুণ নষ্ট বা হত্যা করতে পারায়
স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থীরা আরো বেশি অবৈধ সম্পর্কে জড়াচ্ছে বলে জানান
স্থানীয়রা।

এমন ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অতিদ্রুত
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এই কাজ করছেন বগুড়ার
শেরপুর উপজেলার পিয়ারা খাতুন। তার টার্গেট স্কুল বা কলেজ শিক্ষার্থী। কারণ তাদের
অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভধারণ হলে ওই ভ্রুণ নষ্ট করলে বেশি টাকা পাওয়া যায়।

জানা যায়, গত ২৫ জুন মঙ্গলবার ১৬ বছরের এক কিশোরী হাসপাতাল রোড এলাকায়
একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এম আর করতে আসে। তখন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার
স্বামীকে আনতে বলে সে বিবাহিত কিনা? ওই কিশোরীর সঙ্গে থাকা লোকজনের
কথায় অসংগতি পাওয়ায় তাদের এমআর করতে অসম্মতি জানান ক্লিনিক কর্তপক্ষ। তখন
কিশোরীর পরিবার ক্লিনিক থেকে বের হতেই স্থানীয় দালাল জানান পিয়ারা খাতুন
নামের এক ধাত্রী হাসপাতাল রোড শান্তি নগর এলাকায় এম আর করে।

সেখানে অল্প টাকায় কাজ করে দেওয়ার কথা জানায়। তার কথা অনুযায়ী ২৫ জুন মঙ্গলবার বিকেলে শান্তি নগর
এলাকায় পিয়ারা খাতুনের ভাড়া নেওয়া বাসায় গিয়ে মানব ভ্রুণ নষ্ট করে বাড়িতে
যাওয়ার সময় রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। স্থানীয়রা অসুস্থ কিশোরীকে উদ্ধার করে
বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, খানপুর ইউনিয়নের এক যুবক স্কুল পড়–য়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের
সম্পর্ক গড়ে তুলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরীর গর্ভবতী হয়।

পরে সেই কিশোরীকে নিয়ে এসে ২৫ জুন মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল রোড শান্তি নগর
এলাকায় পিয়ারা খাতুনের ভাড়া মানব ভ্রুণ নষ্ট করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন আরোও জানান, দীর্ঘদিন যাবত পিয়ারা
খাতুন নামের এই ধাত্রী বাসা ভাড়া নিয়ে (এম আর) করে আসছেন, যতটুকু শুনেছি
দিনে ২-৫ টা (এম আর) হয়। প্রতিটিতে খরচ প্রায় ৩ হাজার থেকে শুরু করে যার থেকে
যা নিতে পারে।

ধাত্রী পিয়ারা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি আর এসব
কাজ করিনা। তখন সংবারেদ তথ্য সংগ্রহের জন্য গোপনে এমআর করতে চাইলে তিনি
করতে চান। এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আলেয়া ও আশা নামের
দুইজনের একজনের কাছে নিয়ে গিয়ে এম আর (কাজটি) করিয়ে দিতে চাইছিলাম।
ডা: স্বপন জানান, আমাদের ক্লিনিকে এসেছিল এম আর করার জন্য। এটা অবৈধ
গর্ভপাত জানতে পেরে আমরা করিনি। তাছাড়াও ক্লিনিক খরচ বেশি। বাহিরে গ্রাম্য
ধাত্রী দিয়ে অল্প টাকায় এই গর্ভপাতগুলো করানো হচ্ছে। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা সাজিত হাসান জানান, শুনেছি পিয়ারা খাতুন নামের
একজন বাসা ভাড়া নিয়ে এমআর করে। পিয়ারা খাতুনের সম্পর্কে কোন কিছুই
জানিনা। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এমআর ওয়ার্ড
শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। বগুড়া শজিমেকে আলাদা ইউনিট আছে।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews