বগুড়ার শেরপুরে নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে ট্রান্সফর্মার ও ইট ভাটার অফিস থেকে নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। নাইট গার্ডের নাম বাবলু মিয়া (৬৫)। তিনি পৌর শহরের শ্রীরামপুর পাড়ার মৃত দিলবার হোসেনের ছেলে।য়াজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ইটভাটার মালিক কায়কোবাদ ওই নাইট গার্ডকে উদ্ধার করে।
সরেজমিনে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার শুবলী এলাকার মেসার্স কোয়ালিটি ব্রিকস নামের ইটভাটায় গত রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সঙ্ঘবদ্ধ ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল ইটভাটার ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের দেখে নাইটগার্ড এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে । পরে তিনটি ট্রান্সফরমার ও ইট ভাটার অফিসের তালা ভেঙ্গে অফিসের ভিতর থাকা নগদ ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং সিসি ক্যামেরার ব্যবহৃত মনিটর চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইট ভাটার মালিক কায়কোবাদ বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় আজও ফজর নামাজের সময় আমি ইটভাটায় আসি এসে দেখি নাইট গার্ডের হাত-পা বাঁধা। পরে স্থানীয় একজনের সহায়তা নিয়ে তাকে হাত-পা খুলে দেই। আমার অফিসের তালা ভেঙ্গে নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে নাইটগার্ড বাবলু মিয়া জানান, ৮-১০জন এসে প্রথমে আমার গলায় চুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত পা বেঁধে তিনটি ট্রান্সফরমার ও অফিসে তালা ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে কি কি নিয়েছে তা আমি জানিনা।
স্থানীয় গ্রামবাসী রাশেদুল ইসলাম ও শহিদুল জানান, গত এক মাসে এই গ্রামসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে ৯ থেকে ১০ টি গরু ও ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। আমরা গ্রামবাসী আতঙ্কে রয়েছি। গ্রাম থেকে পাহারা দিয়েও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। আমাদের গ্রামবাসীর মধ্যে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার শোনার পর ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছি এবং সঙ্ঘবদ্ধ চোর কে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।