1. editor@dailybogratimes.com : dailybogratimes. :
শ্রম আইনে ড ইউনুসের ৬ মাসের সাজা » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
হামলার সময় আ.মীলীগ ও বিএনপির দুইদলের লোকই ছিল : হিরো আলম বগুড়ার নতুন ডিসি হোসনা আফরোজা যশোর বেনাপোলে কৃতি সন্তান  সংবর্ধিত ফুটবলার রাহুল জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার হবে : চিফ প্রসিকিউটর জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হলেন গাইবান্ধার মোস্তফা মহসিন সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলা   বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে এলো এক ট্রাক ডিম জয়পুরহাটে মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন পাঁচবিবিতে ধরঞ্জী ইউনিয়ন জামায়াতের বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  নওগাঁ জেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের ইন্তেকাল  আত্রাইয়ে এক রাতে ৯টি গরু-ছাগল চুরি  গাইবান্ধায় নতুন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ হিলি বাজারে প্রতি শুক্রবার দোকান বন্ধের দাবী কর্মচারীদের লালপুরে শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাবনায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

শ্রম আইনে ড ইউনুসের ৬ মাসের সাজা

নিউজ ডেস্ক:-
  • মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৫ বার পঠিত
শ্রম আইনে ড ইউনুসের ৬ মাসের সাজা
print news

নিউজ ডেস্ক:- নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।’

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আজ সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

রায়ের সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আবেদনের পর তাঁকে এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যে মামলা করেছিল, সেটি আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা (গ্রামীণ টেলিকম) শ্রম আইন না মেনে নিজস্ব আইন মেনেছেন। এ জন্য দুবার তাদের কারণ দর্শানো হয়। তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। তাদের যে ত্রুটিগুলি ছিল, সেটি তারা সংশোধন করেনি।

রায়ে ড. ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। ড. ইউনূসসহ চারজনকে দুটি ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেছিল সরকারি সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।
অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে গত ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চার বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়।

আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত গত ২৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন (১ জানুয়ারি) ধার্য করেছিলেন।

আজ বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ড. ইউনূস রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকার অস্থায়ী আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি আদালতকক্ষে প্রবেশ করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন প্রমুখ।

আইরিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূসের সাজার রায়ে তিনি বিস্মিত। তাঁকে (ড. ইউনূস) হয়রানি করার জন্যই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

এনাম হক / ডেইলি বগুড়া টাইমস

আরো খবর
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews