বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে সাতটায় এই মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৮টায় সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি জামাতেই মুসল্লিতের
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনসহ জেলার গণ্যমান্য বক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় এবং সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম।
বিশ্বঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই মসজিদে নামাজ পড়তে ভোর থেকেই জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসে ভিড় জমায়। মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মূল মসজিদ ভবনের বাইরেও দুটি প্যান্ডেল করা হয়।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেছেন। ঈদের নামাজ পড়তে আগত মুসল্লিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নামাজ শেষে জেলা প্রশাসনের আথিয়েতা গ্রহণ করেন মুসল্লিরা।
মাওলানা রমিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ষাটগম্বুজ মসজিদ আসলে আমাদের একটি আবেগের জায়গা। এখানে নামাজ পড়তে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজন খুবই ভালো ছিল।
বাগেরহাটে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও বাগেরহাটে ঈদের প্রধান জামাত ষাটগম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা দেশ ও জাতির শান্তির জন্য দোয়া করেছি। মুসল্লিরা স্বতস্ফুর্তভাবে নামাজ আদায় করেছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রত্নতত্ত্ব অধিপ্তরের কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সব মিলিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছি।
আগামীতেও আড়ম্বরপূর্ণভাবে এখানে ঈদের নামাজ আয়োজনের আশাব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।