নিউজ ডেস্কঃ- সংসার ভাঙার কয়েকটি কারণ । বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের খুব বেশি শোনা যায়। অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের কারণে এমটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিক শান্তির জন্য নারী-পুরুষ উভয়ই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। চলুন জেনে নেয়া যাক বিবাহবিচ্ছেদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ।
১. বিয়ের পর সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া
বিবাহবিচ্ছেদের একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বিয়ের পর সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা কমে যাওয়া। একে অপরের প্রতি প্রেমপূর্ণ সম্পর্ক না থাকা। জার্নাল অব সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপির ২০২০ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, দুই হাজর ৩৭১ জনের বিবাহবিচ্ছেদের সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক মানুষ ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার অভাবকে দায়ি করেছেন। একে অপরের প্রতি আবেগ কমে যাওয়া বিবাহবিচ্ছেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
২. প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা
প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতা বিবাহবিচ্ছেদের খুব সাধারণ একটি কারণ। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসা না থাকলে সেই সম্পর্ক শেষ হতে বেশি সময় লাগে না।
৩. সঙ্গীকে অবজ্ঞা করা
কোন মানুষ নিখুঁত নয়। সবারই কিছু না কিছু দোষ থাকে। এসব আমাদের মেনে নিয়েই তাকে যোগ্য সম্মানটা দিতে হবে। সমস্যা দেখা দেয় যখন আমরা আমাদের সঙ্গীকে অবজ্ঞা করা শুরু করি। অবজ্ঞা, উপহাস এবং অসম্মান সম্পর্কের জন্য খারাপ এবং এটা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।
৪. মানসিক নির্যাতন
শারীরিক নির্যাতনের মতো মানসিক নির্যাতনও অসহনীয়। অহেতুক রাগ দেখানো, গালাগালি করা এবং দোষারোপ করা মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিচ্ছেদের পথে হাটে।
৫. গোপন ঈর্ষা
মনের অজান্তেই চুপিসারে ঈর্ষা নামের বিষবাষ্প ঢুকে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে। সঙ্গীর ওপর থেকে আস্থা পুরোপুরি উঠে যায়। একটা পর্যায়ে একে অন্যকে অবজ্ঞা করতে শুরু করেন তারা।
৬. মতের অমিল
স্বামী-স্ত্রীর মতের অমিল প্রকট আকার ধারণ করে। যৌথভাবে কোনো সিদ্ধান্তই তারা নিতে পারেন না। দুজনই যার যার অবস্থানকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। নিজের মতামত ঠিক কি না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো যুক্তির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন তারা অনুভব করেন না। মূলত ইগো সমস্যার কারণেই এমনটা হয়। একপক্ষ মনে করতে থাকে তার আত্মমর্যাদায় আঘাত দেয়ার চেষ্টা করছে অপর পক্ষ। একে অন্যকে স্বার্থপর বলেও ভাবতে শুরু করেন তারা।