সজনে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অলৌকিক গাছ নামেও এর সুখ্যাতি রয়েছে। সজনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি ১, বি ২, বি ৩, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস।
এছাড়া ৮ অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস উপকারী সজনে পাতা। ৩৮ শতাংশ আমিষ আছে এ পাতায়; যা অন্য কোনো উদ্ভিদে নেই। জেনে নিন সজনে পাতা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজ থেকে লিভারকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে সজনে পাতা।
সজনে পাতায় এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। যেমন এতে নিয়াজিমিসিন রয়েছে। এটি এমন একটি যৌগ যা ক্যানসারের কোষের বিকাশকে দমন করে।
কিছু পেটের রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে সজনে পাতা। নিয়মিত এটি খেলে হজমের সমস্যা থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। একটি গবেষণা বলছে, পেটের অম্লতা প্রায় ৮৫ শতাংশ কমাতে পারে সজনে পাতা এবং এটি পেপটিক আলসার প্রতিরোধ করতে পারে।
প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে সজনে পাতায় যা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এমন ব্যাধিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আলঝেইমার রোগ, নিউরোপ্যাথিক ব্যথা এবং বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো কমায় এ পাতা।
কোয়ারসেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে এতে, যা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে এতে। ফলে নিয়মিত সজনে পাতা খেলে দূরে থাকা যায় হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে।
রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে সজনে পাতা।
সজনে পাতায় এমন অণু রয়েছে যা হাঁপানি, শ্বাসনালী সংকোচন এবং শ্বাসনালীতে প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
সজনে পাতা কিডনিতে খনিজ তৈরি এবং পাথর তৈরি করা বন্ধ করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সজনে পাতা। একটি সমীক্ষায় একদল সুস্থ অংশগ্রহণকারী এক সপ্তাহের জন্য ১২০ গ্রাম রান্না করা সজনে পাতা খেয়েছিল, অন্য দল তা করেনি। খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে যারা সজনে পাতা খেয়েছিলেন তাদের রক্তচাপ কম ছিল, যারা খায়নি তাদের বেশি ছিল।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন রয়েছে সজনে পাতায়, যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। সজনে পাতায় থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।