শেরপুর,বগুড়াঃ- শস্য ভান্ডার খ্যাত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ । প্রকৃতি সেজেছে যেন এক হলুদ বর্ণের অপরুপ সাজে। শীতের সোনাঝরা রোদে মাঠ জুড়ে যেন ঝিকিমিকি করছে সরিষা হলুদ ফুল। দিগন্তজুড়ে এখন হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। দেশে ভোজ্যতেলের উর্ধ্বগতি, সয়াবিন তেল নিয়ে চলে তেলেসমাতি। তাই স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছে শেরপুরের কৃষক। বসে নেই অসংখ্য প্রকৃতি প্রেমিরা । সরিষা ক্ষেতে এ ভীর করছেন পরিবার- পরিজন নিয়ে , কেউ বা তুলছেন বাহারি ঢঙ্গে সেলফি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সালফা ও শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের উচরং ,ঘোলাগাড়ী এবং খামারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। শেরপুরের মাঠে প্রকৃতি যেন সেজেছে আপন রুপে। এমন নয়নাভিরাম সরিষা ফুলের দৃশ্য, ফুলের গন্ধ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে বিমোহিত করে। দিগন্তজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে কৃষক যেন এক নতুন স্বপ্ন বুনছে।
এখন সরিষা গাছে ধরেছে ফুল, আর কিছুদিন পরেই আসবে ফল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলে সরিয়ায় ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষক। বিগত বছরের চেয়ে তুলনামূলক এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভাল হয়েছে। তাছাড়া সময়মতো সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সরিষার আবাদ করতে এবার কৃষককে কোন প্রকার বেগ পেতে হয়নি।
কথা হয় শেরপুর উপজেলার সালফা গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের সাথে তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় আমি ১ বিঘা সরিষার আবাদ করেছি। অনেক সুন্দর আবাদ হয়েছে, ভালো ফলনও হবে বলে আশা করছি।
উছুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবেদ আলী জানান, এ বছর তিনি ২০ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলনও ভাল হয়েছে, ভাল দাম পেলে লাভের মুখ দেখবেন তিনি। এছারাও এবার রোপনের পর সামান্য বৃষ্টিপাত হওয়ায় বেশী ফলন আশা করছেন কৃষকরা ।
এবিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এ বছর সরিষা আবাদ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ৩৩’শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে চাষ হয়েছিল ২২’শ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১১’শ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ বেশি হয়েছে।