আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সান্তাহারে অধিকাংশ বিত্তবানরা
ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষ করলেও অনেকটা পিছিয়ে আছেন নি¤œবিত্তরা।
পোষাক শ্রমিক থেকে শুরু করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষ
এই শ্রেনীর অর্šÍভ‚ক্ত। যদিও দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলামান ধর্মের অন্যতম
ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
সান্তাহারের পৌর শহরের ফুটপাতের দোকানগুলিতে শেষ মহুর্তে ভিড় করছে
নিম্ন আয়ের মানুষেরা। পরিবার ও প্রিয়জনের ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে অল্প
বাজেটের মধ্যেই কেনাকাটার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। শহরের সেরা সেরা
বিপনীবিতানের মতো উপচে পড়া মানুষের ভিড় এখন ফুটপাতের
দোকানগুলিতে। সকাল থেকে গভির রাত অবিধি কেনাকাটা চলছে ফুটপাতের
দোকানগুলিতে। বিভিন্ন বয়সের চাহিদামতো নানা পণ্য এসব দোকানে
পাওয়া যায়। এসব দোকানে ২০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মানভেদে ঈদের
পোষাক পাওয়া যায়।
সান্তাহার রেলগেটের মতিন বাজারের প্রায় ৩০টি দোকান, মালাহল সংলগ্ন
১৪ টি দোকান, মিয়াজান মার্কেট, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন সহ
শহড়ের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা ফুটপাতের দোকানগুলিতে বিভিন্ন
নিম্নবিত্ত ক্রেতারা শেষ মহুর্তের কেনাকাটা করছেন। যদিও এই সব দোকানে
নেই বাহারি পোষাক। নি¤œবিত্তদের কাছে ঈদের নতুন পোষাকই বড় কথা।
ফুটপাতের মৌসুমি এই দোকানগুলিতে পাঞ্জাবি, শার্ট,প্যান্ট, গেঞ্জি,
লুঞ্জি, সালোয়ার কামিজ,ওড়না,টুপি,সুগন্ধি, জুতা,সেন্ডেল,গামছা,ফ্রক
ইত্যাদি। আবার ১ থেকে ৯৯ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যে এসব ফুটপাতের
দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে।
সান্তাহরের মতিন বাজারে সন্তানের জন্য কাপড় কিনছিলেন হামিদা বানু।
তিনি জানান, আমি গামেন্টসে চাকুরি করি। গতকাল ঈদ বোনাস
পেয়েছি। তাই আজ বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। এই
মার্কেটে কিছুটা কম টাকায় বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায়। ভ্যানচালক
মসির মিঞা জানান, হামরা গরিব মানুষ। বাচ্চাকে কাপড় কোনমতো
কিনিচি,বইয়ের জন্য শাড়ি খুজিচ্ছি। দামে হচ্ছে না। ট্যাকাও কম হামার
কাছে। গতবার বউয়ের জন্য কিছু দিবা পারিনি। এবার দিমু।
ফুটপাতের এক নূর মন্ডল বিক্রেতা জানান, রামজানের শুরুতে বেচা-কেনা
খুবই খারাপ ছিল। কৃষকরা এখোনো নতুন ধান পায়নি। আর মফস্বলের
ক্রেতারাই আমাদের প্রধান খরিদ্দার। তবে এখন বেচাকেনা ভাল। ঈদের আগের রাত
পর্যন্ত চলবে বেচাকেনা।
এ ছাড়া শহরের ফুটপাতে ঈদ উপলক্ষে টুপি,আতর, বাচাচাদেও নানা
আইটেমের জামা, সেন্ডেল-জুতার দোকান খুলে বসেছে। এরা সবাই
মৌসুমী বিক্রেতা। অপক্ষাকৃত নি¤œ আয়ের মানুষ এসব দোকানের ক্রেতা।