আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার সাইলো সুপার (ভারপ্রাপ্ত)
শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও
মানববন্ধন করেছে শ্রমিকরা। গত সোমবার সকাল ১০ টায় সাইলোর মুল ফটকের সামনে কর্মবিরতি
পালন করেন সেখানে কর্মরত ভুক্তভোগী অর্ধশত ক্যাজুয়াল কর্মচারী। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা
পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা ধরা চলা কর্মসূচীতে সাইলোর সব ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে যায় । প্রধান
ফটকের বাইরে আটকা পড়ে মালবাহি ট্রাক ।
কর্মবিরতি চলাকালে সাইলো সুপারের নির্দেশে মুল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়, যেন শ্রমিকরা ভিতরে প্রবেশ
করতে না পারে।
পরে শ্রমিকরা বিকল্প ফটক খুলে সাইলোর সুপারের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ
করেন । সাইলো সুপার তাদের সাথে কোন না বলে এক পয়ার্য়ে তার সহ-কর্মীদের সহয়তায় ঘরের দরজা বন্ধ করে
দেয়। কিন্তু কর্মরত শ্রমিকরা তার সাথে কথা
বলার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কোন সাড়া দেননি । এতে করে শ্রমিকরা সাইলো সুপারকে অবরুদ্ধ করে
রাখেএবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে
শ্রমিকদের শান্ত করা চেষ্টা করেন ।
এর আগে কর্মবিরতিকালে ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের মধ্যে খোরশেদ আলম, রবিউল ইসলাম, সুমন হোসেন,
এনামুল হক, সাগর হোসেন, নাজমুল হক’সহ অনেকে সাইলো সুপারের বিভিন্ন দূর্ণীতি, অনিয়ম, ঘুম
বানিজ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, ।
তারা বলেন সাইলো সুপার বিভিন্ন দূর্ণীতি, নিয়োগ ও ঘুষ বানিজ্যসহ
বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। তারা বলেন, মাষ্টার রোলের নিয়ম অনুয়ায়ী আমাদের প্রতিদিন মজুরি দেওয়া
কথা ২২৪ টাকা কিন্তু সাইলোতে হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার না থাকায় প্রতি হাজিরায় সাইলো সুপার ৪৯ টাকা
করে কেটে নিয়ে শ্রমিকদের ১৭৫ টাকা মজুরি দিচ্ছেন। অথচ দ্রব্যমুল্য উর্ধ্বগতির এই দিনে একজন
শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি হওয়া উচিত ৪০০/৫০০ টাকা।
আমরা আমাদের করুন অবস্থার কথা সাইলো সুপারকে জানাতে গেলে তিনি কোন কথা না শুনে উল্টো চাকুরি থেকে বের করাসহ মামলার হুমকি প্রদান করেন। আমরা
এই দুর্নীতিবাজ সাইলো সুপারের দূর্নিতীর সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক তাকে দ্রত বিচারের আওতায় আনার জন্য
জোর দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে শ্রমিকদের কথাগুলোর সত্যতার জানার জন্য গনমাধ্যমকর্মীরা সাইলো সুপারের কাছে গেলে তিনি
গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে কোন তথ্য না দিয়ে উল্টো মামলার করা হুমকি দেন। খবর
পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং কর্মচারীরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে
কাজে যোগ দেন ।