আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ- বৃটিশ আমলে নির্মিত
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন, বৃহৎ স্টেশন সান্তাহার জংসন
স্টেশন। উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই স্টেশনেই শুধু দুইটি প্লার্টফর্ম
আছে। একটি ব্রড গ্রেজ আর অন্যটি মিটার গ্রেজ। সেই
মিটার গ্রেজ প্লার্টফর্মে কোন শেড বা যাত্রী ছাউনি না
থাকায় রেল যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষত রাতে ও
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এ কষ্ট আরো বেড়ে যায়।
মুজীব শত বর্ষ উপলক্ষে কিছুদিন পূর্বে সান্তাহার স্টেশনে
প্লার্টফর্ম উঁচুকরণ, প্রশস্তকরণে, সীমানা প্রাচীর সহ বেশ
কিছু উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে। ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে
উক্ত প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ায় স্টেশসটি নান্দনিক, সৌন্দর্যময় ও
মডেল স্টেশনে পরিনত হয়েছে। সান্তাহার প্লার্টফর্মে
১.২.৩.৪.৫ এবং ৬ নম্বরে দুটি প্লার্টফর্ম আছে। বিশাল এলাকা
জুড়ে অবস্থিত এই স্টেশনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলেও ৫ এবং ৬ নম্বর
প্লার্টফর্মে কোন শেড বা যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের
দুর্ভোগ বেড়েছে। কোন শেড না থাকায় এই প্লার্টফর্মের
কোন নাম্বার প্লেট নাই। ফলে যাত্রিরা বুঝতে পারে না ৫ নং
প্লার্টফর্ম কোনটি।
৫ নং প্লার্টফর্ম থেকে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন এবং
কয়েকটি মেইল ট্রেন যাতায়াত করে। স্টেশন সৃষ্টি পর থেকে
এবারই মিটার গ্রেজের এই প্লার্টফর্ম উচু এবং প্রশস্ত
হয়েছে । আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও হয়েছে এখানে। কিন্তু যাত্রী
ছাউনি না থাকায় রাতে এবং বৃষ্টির সময় এই প্লার্টফর্ম
ব্যবহার করা যাত্রীদের প্রচন্ড দুর্ভেগ হয়। এখানে একটি ফুট
ওভারব্রিজ আছে।
সান্তাহার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম
মোর্শেদ বলেন, বৃটিশ আমলে নির্মিত এই স্টেশনে উন্নয়ন
ছিল না। মুজীব শত বর্ষ উপলক্ষে এখানে বেশ উন্নয়নমুলক কাজ
হয়েছে। কিন্তু ৫ এবং ৬ নম্বর প্লার্টফর্মে কোন যাত্রী ছাউনি
নেই। তাই যাত্রী ছাউনি করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ
করছি।
সান্তাহার জংসন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান জানান,
আমি এ বিষয়ে উচ্চ মহলে সুপারিশ করেছি। যাত্রী ছাউনি
প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) অসীম কুমার
তালুকদার মুঠোফনে জানান, কিঝুদিন আগে এই স্টেশনে ৬
কেটি ২০ লক্ষ টাকার একটি উন্নয়নমুলক প্রকল্প সম্পন্ন
হয়েছে। এই মুহর্তে কিছু করা যাবে না। তবে এই বিষয়টি
আমাদের কর্ম পরিকল্পনা তালিকায় আছে।