নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কচু ক্ষেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১জনকে আটক করা হয়েছে।
আহতরা হলেন—সহোদর ভাই লিটন (৩৫) ও রিপন (২৬), পিতা- আবু সাইদ (৬৫), লিটনের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩০), শরিফুল (৩৫), শহিদুল (৫০) উভয় পিতা- রহিজ উদ্দিনকে শহরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুণ্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটায় শরিফুলকে আহত অবস্থায় আটক করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।
একই অবস্থায় অপর পক্ষের দুইজন হাসান (২২), পিতা সোবাহান, মাতা- নুরজাহান(৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শুক্রবার (২৯মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার ঘুরকা ইউনিয়নের কুতুবের চর গ্রামে ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। তবে তার চিকিৎসা জরুরীভাবে প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন আটককৃত ব্যক্তির পরিবার।
তবে এই প্রতিবেদন তৈরী পর্যন্ত দু’পক্ষের কেউ মামলা করেনি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আহত আবু সাইদ বলেন, আমাদের বাড়ীর পাশে একটি পুকুর রয়েছে। পুকুর পাড়ে একটি কচু ক্ষেত রয়েছে। আমাদের গৃহপালিত হাসঁ প্রতিপক্ষ মৃত সোবাহানের কচু ক্ষেতে চলে যায়। পরে তার স্ত্রী নুরজাহান এগিয়ে এসে দেখতে পেয়ে আমাদের বাড়ীতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই ক্ষেত থেকে আমার স্ত্রী তাড়িয়ে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে ওই হাসঁগুলো যাওয়ার কারনে অকথ্য ভাষায় গালিগালিজ করতে থাকে। তার প্রতিবাদ করার সময় তার ছেলে বেল্লাল ও আলহাজ্ব এগিয়ে আসলে মারমুখী আচরন করতে থাকে। বিষযটি উভয়পক্ষকে থামিয়ে দিয়ে আমি নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে দেখি আমার স্ত্রী ছেলে ও ভাতিজাদের দেশীয় মাছ কাটার দা, সাবোল, লাঠি দিয়ে আঘাত করছে। সে সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয় প্রতিপক্ষরা পরে লাঠি দিয়ে আমার হাত ও মাঝায় বেধরক মারধর করে।
আহত লিটন জানান, আমার ডান কান এক সাইটে কোপ মেরে কেটে ফেলেছে চাচাতো ভাইয়ে ডান হাতে কব্জি ফেটে গিয়েছে, শরিফকে ডান পায়ে কোপ মেরেছে, স্ত্রী হালিমাকে শ্লীলতাহানি করছে ওই পক্ষগণ।
সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এনামুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।