এম এ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অফিস সময়সূচি না মানার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুমি কায়সারের বিরুদ্ধে। সেবা প্রত্যাশীদের এমন অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে তাকে।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহার পরে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারি অফিসের কার্যক্রম চলার বিষয়ে গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ, অফিস সময়সূচি নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারির আগেও সময় মতো অফিসে আসতেন না সুমি। অফিসে না এসেও ফিল্ডে যাওয়ার কথা বলে ফাঁকি দিতেন অফিস। আর নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গর্ভবতী নারী কিংবা অন্যান্য সেবা প্রত্যাশীরা ফিরে যেতেন সেবা না পেয়েই। ফলে হয়রানির শিকার হতেন তারা। এ নিয়ে রোববার(৩০ জুন) এক সেবা প্রত্যাশীর লাইভ এখন সোসাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে, অপর এক সেবা প্রত্যাশী ওই কর্মকর্তার ছবি আপলোড করে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা মহোদয়সহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আকুল আবেদন করছি।’
অফিসে বিলম্বে আসা নিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুমি কায়সার বলেন, বৃষ্টি ছিল বলে দেরি হয়েছে। কোথায় যাই- সেটা আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রায়ই অফিস দেরি করে আসায় সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছে।জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।