আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছে, “মিয়ানমার সেন্ট মার্টিন দখলের চেষ্টা করলে আমরা প্রতিরোধ করব, সেই সামর্থ্য আমাদের আছে।”
আজ শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কাদের বলেন, “মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, এটা দুঃখজনক। আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না। আমরা এখনই আক্রমণ করব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি আছে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। ইসরায়েল তাদের কথা শোনে না। বড় বড় দেশগুলোও শোনে না।”
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনাগুলো ঘটে। এর পর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি।
তবে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এসব ঘটনার ৯ দিন পর বিকল্প পথে শুক্রবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনে ভিড়েছে এমভি বারো আউলিয়া।
সেন্ট মার্টিন দখলের চেষ্টা করছে মিয়ানমার : মির্জা ফখরুল
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মিয়ানমার দখলের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেন, সরকারের দাসসুলভ আচরণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমারকে সরকার কিছুই বলতে পারছে না।
শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিয়ানমারের কারণে সেন্ট মার্টিনে চরম খাদ্যসংকট চলছে। মিয়ানমার গুলি চালাচ্ছে, কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না অথচ সরকার এসব বিষয়ে একেবারে চুপ।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না। দেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষ আজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
এ সময় দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনাগুলো ঘটে। এর পর থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি।
তবে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।