সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সরবরাহ কমে যাওয়ায় রসুনের দাম বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। রসুনের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বুধবার (১৫ মে) সরেজমিনে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রসুনের দোকানগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। গত সপ্তাহে রসুন কেজি প্রতি প্রকারভেদে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে প্রকারভেদে ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি ধরনের রসুন সপ্তাহখানিক আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। বর্তমান দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। বড় মাপের রসুন বিক্রিয় হয়েছিল ১২০ টাকা। বর্তমানে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে।
তিনি বলেন, আমরা চাই রসুনের দাম যেন কমে আসে। সবকিছুর বাড়তি দামের কারণে সংসার চালাতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা হোসেন নামে এক যুবক বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিদিন ৩০০ টাকা হাজিরায় কাজ করি। দুদিনের টাকা জমিয়ে বাজারে এসেছি। ৪০০ টাকা নিয়ে বাজার করার জন্য এসে দেখি রসুনের কেজি ২০০ টাকা। এখন এক কেজি রসুন কিনলে আর চাল,ডাল ও সবজির টাকা কোথায় পাবো। দাম না কমলে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।
হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা তাহের বলেন, হঠাৎ করেই রসুনের সরবরাহ কমে গেছে। দেশি রসুন দিয়েই বেশ কিছুদিন ধরে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। সরবরাহ ভালো থাকায় রসুনের দামও কম ছিল। তবে এখন ক্ষেত থেকে যেসব রসুন উঠছে এর অধিকাংশই শুকনো রসুন।
তিনি বলেন, কৃষকরা বর্তমানে রসুন বিক্রি না করে পরবর্তী সময়ে বাড়তি আয়ের আশায় সংরক্ষণ করে রাখছেন এবং মজুদ বাড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে মোকামগুলোয় অনেক ব্যবসায়ী রসুন মজুদ করে রাখছেন।
হিলি বাজার কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, রসুনের দাম বৃদ্ধির বিষয় আমার জানা ছিল না। অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।