আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে বাজারে সরবরাহকৃত প্রতিটি চালের বস্তায় সাতটি তথ্য নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তথ্য না থাকলে জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাইস মিল থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও সরবরাহ মূল্য সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভায় এ কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন আইন ২০২৩ অনুযায়ী সরবরাহকৃত প্রতিটি চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা, জেলা, নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ ও মিল গেট মূল্য লেখা থাকতে হবে। এই ৭ তথ্য না পেলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ৭ তথ্য নিশ্চিত করতে পারলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, রাইস মিল ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পহেলা বৈশাখ থেকেই সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলা প্রাশসনের মনিটরিং দল মাঠে থাকবে। অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর উপজেলার মিল মালিক আবু সাঈদ বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমবে। তবে বড় বড় কোম্পানির মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ায়, তাদের নাম সামনে আসে না। শুধু মিল মালিকদের নাম সামনে আসে। তাই সঠিক মনিটরিং হোক এটাই আমরা চাই ।
সভায় বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা আলম নান্নু বলেন, ‘বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। চাল নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয় সেজন্য প্রশাসনের পাশাপাশি গোয়েন্দা মনিটিরিং চলমান থাকবে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে মিল গেটেই চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম, মূল্যসহ আরও কয়েকটি বিষয় লিখে দিতে বলা হয়েছে। এগুলো যারা উল্লেখ করবে না তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মেসবাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন , জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন ও অটোমেটিক ও হাস্কিং মিল মালিকেরা বক্তব্য রাখেন।