আট বছর পর জামায়াতে ইসলামীর কোনো ইফতার পার্টিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের যোগ দিতে দেখা গেল। শনিবার (৩০ মার্চ) হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাসহ একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নাল আবেদিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারওয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, দলটির মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন ও শায়রুল কবির খান।
এছাড়া এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, নুরুল হক নূর, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারিসহ বিভিন্ন রাজণৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী নেতারাও এতে অংশ নেন।
সবশেষ ২০১৫ সালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জামায়াতের ইফতারে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরের বছরে ইফতার পাটি আয়োজন করেও পরে পুলিশের বিধিনিষেধে বাতিল হয়ে যায়। এরপর থেকে জামায়াতের ব্যানারে সেভাবে বড় আকারে ইফতার মাহফিল করতে দেখা যায়নি দলটিকে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর থেকে দীর্ঘদিনের মিত্র ও জোট সঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে বিএনপির। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই দুই দলের শীর্ষ নেতারা পারস্পরিক বাকযুদ্ধেও জড়ান। একপর্যায়ে জামায়াতকে নিয়ে গঠিত ২০ দলীয় জোট ভেঙে দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দল দুটির নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কাছাকাছি হতে দেখা যায়নি।
আজ হোটেল সোনারগাঁও প্যানপ্যাসিফিকের বলরুমে ইফতারে একই টেবিলের বসে ইফতার করেন জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
গত বছরের রমজানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে জামায়াতকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। এবার ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতারে জামায়াতের আমীরসহ শীর্ষ চার নেতা যোগ দেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।