আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা ভারত গড়ছে একের পর এক রেকর্ড। টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ, একশ, দেড়শ ও দুইশর পর এবার দ্রুততম দলীয় আড়াইশ রান তোলার বিশ্বরেকর্ডও টিম ইন্ডিয়ার দখলে গিয়েছে। এরই মধ্যে ইনিংস ঘোষণা করেছে টিম ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানের জবাবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারত ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ৫২ রানে পিছিয়ে থেকে সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে।
স্বাগতিকরা ৩০.১ ওভারে ২৫০ রানে পা দেয়। ২০২২ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ ওভারে ২৫০ রানের ঘরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
মেহেদী হাসান মিরাজের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে বল জাদেজার ব্যাটে লাগার পর প্যাডে আঘাত হানে। এরপর তা মাটতে পড়ার আগে কভারে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হলে ৮ রান করেই এই অলরাউন্ডারকে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হন এক রান করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন লোকেশ রাহুল। দুই ছক্কায় ১২ রান করা আকাশদীপ মিরাজের বলে খালেদ আহমেদের তালুবন্দি হলে ভারত ইনিংস ঘোষণা করে।
ভারতের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে পাগলাটে শুরু করেন রোহিত শর্মা ও যশস্বী জসওয়াল। নিজের খেলা প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকান রোহিত। জসওয়ালও ছাড় দেননি। দুজনের ব্যাটে মাত্র ৩ ওভারে ৫১ রানে পৌঁছায় ভারত। যা টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় ফিফটি।
রানের গতি আটকাতে চতুর্থ ওভারেই স্পিনার আনেন ক্যাপ্টেন শান্ত। ফলও মেলে দ্রুত। চার খেয়ে শুরু করলেও পঞ্চম বলেই রোহিতকে বোল্ড করেন মিরাজ। মাত্র ১১ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত ফিরলেও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন জসওয়াল। মাত্র ৩১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন এ ওপেনার। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে যেকোনো ব্যাটারের দ্রুততম ফিফটি। সেঞ্চুরির পথে থাকা এ ব্যাটারকে ৭২ রানে বোল্ড করেন হাসান।
চা বিরতির আগে আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। তবে বিরতি থেকে ফিরেই ৩৯ রান করা শুভমান গিলকে ফেরান হাসান মাহমুদ। রিশাভ পান্টকে ৯ রানের বেশি করতে দেননি সাকিব। তবে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। তাইজুলের বলে ২ রান নিয়ে ৩৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন রাহুল। পরের ওভারে সাকিব ৪৭ রান করা কোহলিকে ফেরান।
মাত্র ৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রানের গণ্ডি পেরোয় স্বাগতিকরা। ১০.১ ওভারেই দলীয় একশ রানের দেখা পায়। এরপর ১৮.৩ ওভারে দ্রুততম দেড়শ রানের দেখা পায় রোহিত শর্মার দল। ২৪.২ ওভারে দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছাড়িয়ে যায়। এ সবগুলোই গড়েছে বিশ্বরেকর্ড।
খরুচে হলেও বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৪১ ও সাকিব ৭৮ রানে পান ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ পান একটি উইকেট।