অ্যাপল প্রেমীদের জন্য আবারও সুখবর, আইফোনের নতুন মডেল ১৬ সিরিজে থাকছে ব্যবহারকারীদের জন্য একাধিক সুবিধা। সম্প্রতি অ্যাপল সংস্থার পক্ষ থেকে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
আইফোন প্রত্যেক সিরিজের মতোই এই সিরিজেও মোট ৪টি মডেল থাকবে। সেগুলো হলো- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। প্রতিবারের মতো এবারও আপগ্রেড হচ্ছে প্রসেসর।
আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসে থাকবে বায়োনিক এ১৮ চিপ আর ১৬ প্রো, ১৬ প্রো ম্যাক্সে বায়োনিক এ ১৮ প্রো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ চারটি মডেলে থাকবে অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স। এবারও ব্যাটারির ক্ষমতা সামান্য বাড়ছে। সঙ্গে প্রো মডেল দু’টিতে ৪০ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট, ২০ ওয়াটের ম্যাগসেফ চার্জিং তো থাকছেই।
নন প্রো মডেলে থাকছে যথাক্রমে ২৭ ওয়াট আর ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট। তবে সবচেয়ে বড় চমক হল, এই নতুন সিরিজের চারটি মডেলেই থাকছে ‘ক্যাপচার’ বোতাম। অর্থাৎ ফোনের লক না খুলেও, শুধুমাত্র এই বোতাম টিপেই খুব সহজে ক্যামেরা খুলে ছবি তোলা যাবে।
বিশেষ ক্যামেরা:
আইফোন ১৬ প্রো ও প্রো ম্যাক্সে আগের বারের মতো তিনটি ক্যামেরা থাকবে। ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা, ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড এবং একটা ৫ এক্স অপটিক্যাল জুম লেন্স থাকবে। কম আলোয় ভালো ছবি তোলার জন্য থাকবে বিশেষ ফিচারের সাপোর্ট।
নতুন সিরিজের ক্যামেরা সজ্জায় অ্যাপেল ফিরিয়ে আনতে চলেছে পাঁচ বছর আগের আইফোনের ক্যামেরার ধাঁচ। অর্থাৎ লেন্স দুটো থাকবে লম্বালম্বি ভাবে। যে লেন্সের একটা ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেন সেন্সর অন্যটা ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স।
ডিসপ্লে:
এবারের মডেলে কয়েকটি পরিবর্তন থাকবে। প্রো মডেলের ডিসপ্লের আকার বেড়ে হচ্ছে যথাক্রমে ৬.৩ ইঞ্চি এবং ৬.৯ ইঞ্চি। তবে ডিসপ্লের আকার বাড়লেও ফোনের আকার বাড়বে না। ডিসপ্লের বেজেল আরও পাতলা করা হয়েছে নতুন এই সিরিজ। তবে নন প্রো মডেল ১৬, ১৬ প্লাসের ক্ষেত্রে আকার বা বেজেলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। নন প্রো মডেল দুটিতে ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট থাকতে পারে ৬০ হার্জ।
উল্লেখ্য, অ্যাপল তাদের আইফোন ১৬ সিরিজের লঞ্চের জন্য ইটস গ্লোটাইম ইভেন্টের আয়োজন করেছে। এই ইভেন্ট অ্যাপল টিভি, ইউটিউব এবং অ্যাপলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ছাড়াও কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি দেখা যাবে।