আইসিটি শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারপিট বিচার না পেয়ে ২দিন আগে থানায় অভিযোগ
মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী, পাবনা: দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আমির হামজাকে তার শ্রেণীবন্ধু সামিউল ইসলাম তোহাসহ কয়েকজন বন্ধু কর্তৃক বার বার মারপিট ও নির্যাতনের শিকার হলেও কোন বিচার না পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় আইনগত সুষ্ঠ বিচারের আশায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত ০৫/০৯/২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যায় আমির হামজার পিতা মোঃ তাজমল হোসেন এই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ঈশ্বরদীথানায় দাখিলকৃত অভিযোগ,মোঃ তাজমল হোসেন ও আমির হামজার দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী আনন্দবাজার মাথাল মাথাল পাড়ার ও দাশুড়িয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের ছেলে এবং মোঃ তাজমল হোসেনের ছেলে আমির হামজাকে তার শ্রেণীবন্ধু সামিউল ইসলাম তোহাসহ কয়েকজন বন্ধু বিদ্যালয়ে কয়েকজন অকারণে মারপিট ও নির্যাতন করে। এ বিষয়ে আমির হামজার পিতা তার বাল্য বন্ধু শিক্ষক বিল্লাল হোসেনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। এ অবস্থা চলাকালিন সময়ে গত গত ০৫/০৯/২৩ ইং তারিখ বিদ্যালয়ে আমির হামজাকে তোহা ও তার বন্ধুরা ব্যাপক মারপিট ও নির্যাতন করে আহত করে । ঘটনার পর শ্রেণী শিক্ষক নির্মল সেন আমির হামজাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার পিতা-মাতার কাছে পূর্ণাঙ্গ ঘটনা জানায়। এরপর পিতা মোঃ তাজমল হোসেন আইসিটি শিক্ষক বিল্লাল হোসেনকে তার ছেলে কর্তৃক আমির হামজাকে আবারও মারপিট ও নির্যাতনের বিষয়টি অবহিত করে সামাজিক সমাধান চান। তখন তিনি তাজমল হোসেনকে তুই যা পারিস তাই করে নিস বলে হুমকি দেন। ঐদিন সন্ধ্যায় বিল্লাল হোসেন ও প্রাইমারী শিক্ষক রতন মাস্টার জগনাথপুর অভিমুখে যেতে থাকেন। তখন তাজমল হোসেন ও ছেলে আমির হামজাসহ তাদের সামনে হাজির হয়ে কথা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাজমল হোসেন বিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করেন, মোবাইল এ কল দিলেও রিসিভ করিসনা কেন ? তখন প্রতি উত্তরে তিনি প্রশ্ন করে বলেন,তোর ফোন ধরে আমার কি লাভ ? এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি পর্যায়ে গড়ায়। এসময় প্রাইমারী শিক্ষক রতন তাজমল হোসেনকে মারতে বাধা দেয়। এই সুযোগে বিল্লাল হোসেন তাকে বেদম কিলঘুষি দেন। এতে দু’জনই কমবেশী আহত হন।তিনি তার ছেলেকে লেখাপড়ায় ব্যঘাত ঘটানোরও হুমকি দেন। বন্ধু হয়েও নিজ ছেলেকে শাসন না করে তাজমল হোসেনের ছেলেকে মারপিট ও নির্যাতন করতে সহযোগিতা করার বিষয়টি পরিস্কার হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদারকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
বাধ্য হয়েই ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দাখিল করতে বাধ্য হন তাজমল হোসেন। আইসিটি শিক্ষক বিল্লাল হোসেন এসব আভিযোগের বিষয় সত্যনয় বলে দাবি করেন।